আলোচিত সাদাপাথর কান্ডে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তালিকায় নাম এসেছে মোট ৫২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তোলপাড়। প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের পাথর লুটপাটের ঘটনায় বিষয়টি নিয়ে গোটা সিলেটে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক অঙ্গণে শুরু হয়েছে অস্থিরতা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পদস্থ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে পাথর চুরি বা লুটপাটের অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দুদকের তদন্তে এসব নাম আশায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ‘দুদকের অনুসন্ধান: সাদাপাথর লুটে সম্পৃক্ত ৫২ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন
দুদকের ওই প্রতিবেদনে ভিত্তিতে পাথরকান্ডে ৫০ জনের নাম ও পদবিসহ জড়িত দু’টি প্রতিষ্টানের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের নাম তদন্তে এসেছে এর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি সরকারি দপ্তর, চারজন ইউএনও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভি-ন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা। দুদকের তালিকায় ওঠে আসা ৪২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকায় সর্বাধিক রয়েছে বিএনপির ২০ নেতা ও আওয়ামী লীগের ৭জনসহ জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির দুজন করে নেতার নাম।
তবে দুদকের তালিকায় নাম আসায় দায় অস্বীকার করেছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা। তারা ধারাবাহিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছেন। তারা বিষয়টি মিডিয়া ট্রায়াল হিসেবে দেখছেন এবং
গণমাধ্যমের ওপর দায় চাপাচ্ছেন।
সাদাপাথর লুটপাটে জড়িত এমন ৫২ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। কমিশন তদন্তের নির্দেশ দিলে পরবর্তী কার্যক্রম চালানো হবে। এমনটি জানিয়েছেন দুদক সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই তালিকায় সিলেটের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করলেও বিষয়টিকে স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখছেন তারা।
দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন একটি গণমাধ্যমকে প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পাথর চুরির সত্যতা পাওয়ায় অনুসন্ধানের সুপারিশ করা হয়েছে, যা কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।’