
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ৬জনকে আটক করেছে র্যাব-৯। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন পলাতক আসামি ও তিন চোরাকারবারি রয়েছেন।
অভিযানে ভারতীয় বিড়ি ও সিগারেটও জব্দ করে র্যাব।
র্যাব জানায়, সিলেট নগরীর বন্দরবার থেকে সাজাপ্রাপ্ত ১ পলাতক আসামিকেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে র্যাব-৯ এর একটি দল সিলেট নগরীর বন্দরবাজার থেকে ১ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্র্রেফতার করেছে। আটক শিহাব উদ্দিন (৩৮) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার আসাব আলীর ছেলে। পরে শিহাবকে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ সুরমা থেকে মাদকমামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ব্যাব-৯-এর একটি দল দক্ষিণ সুরমার রেলস্টেশন এলাকা থেকে এসএমপি’র জলালাবাদ থানায় দায়েরকৃত মাদকমামলার পলাতক আসামি সাইফুল (২১)-কে গ্র্রেফতার করেছে। সাইফুল সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার রায়গড় গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে। পরে সাইফুলকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও সিলেটের কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষাধিক শলাকা বিড়ি ও সিগারেটসহ ৩ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। জানা গেছে, গতকাল বিকেলে র্যাবের একটি দল কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর থানা এলাকায় অবৈধ চোরাকারবারি গ্রেফতারে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কানাইঘাট থানার ও জৈন্তাপুর থানার লামা শ্যামপুর গ্রাম থেকে সাড়ে সাত লক্ষাধিক ভারতীয় পাতার বিড়ি ও সিগারেট উদ্ধার করে।
এসময় ৩ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- কানাইঘাট থানার গর্দনাকান্দি গ্রামের মৃত আরজান আলীর ছেলে মো. নূরুল ইসলাম (৪৫), বাঘাইরপাড়া গ্রামের মৃত আরজান আলীর ছেলে মো. ছমসুর উদ্দিন (৫৫) ও আকতালুক কান্দি গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে মো আনিছ (৬০)। উদ্ধারকৃত বিড়ি-সিগারেটসহ গ্রেফতারকৃতদের কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, দক্ষিণ সুরমা ১ জন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। গতকাল দুপুরে র্যাবের অন্য একটি দল দক্ষিণ সুরমা থানা র ভার্থখলা এলাকা থেকে পলাতক আসামি মো. আবুল কালামকে (৩৫) গ্র্রেফতার করেছে। আবুল কালাম দক্ষিণ সুরমার বরখোলা গ্রামের চান মিয়ার কলোনির আব্দুল হকের ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।