আজ শুক্রবার, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, বিকাল ৩:০৯

সৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত মে ১৪, ২০২৫, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ
সৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রির চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আজ মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান-ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন (১৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের অস্ত্র চুক্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এসব চুক্তি হয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার এই চুক্তি ছাড়াও দেশটিতে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের চুক্তি করেছে সৌদি আরব।

সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে এসব চুক্তি সইয়ের পর সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশ সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী মাসগুলোতে তা বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন (এক হাজার বিলিয়ন) ডলারে উন্নীত হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে তিন দিনের সফরের প্রথম দিনে আজ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর দুজন প্রাথমিক বৈঠক করেন। পরে সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। হোয়াইট হাউস বলছে, এদিন সৌদি আরবের সঙ্গে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি’ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি চুক্তির আওতায় মোট পাঁচটি খাত রয়েছে। সেগুলো হলো বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও মহাকাশ সক্ষমতা, আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, সমুদ্র ও উপকূলীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থলবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিকায়ন।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশটির সেনাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া সৌদি আরবের সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামরিক চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে কাজ করা হবে। অস্ত্র চুক্তি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, গ্যাস টারবাইন, উড়োজাহাজসহ বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘অসাধারণ একজন মানুষ’ অভিহিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সৌদি আরব একটি ‘চমৎকার জায়গা’। এখানে ‘চমৎকার মানুষ’ বসবাস করেন।

আরও পড়ুন:  শায়েস্তাগঞ্জে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নিহত ছয়: পরিচয় শনাক্ত

সৌদি আরব সফর শেষে আগামীকাল বুধবার কাতার যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যাবেন তিনি। তবে মধ্যপ্রাচ্যে এ সফরের সময় ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ ইসরায়েল ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই ট্রাম্পের। এমন সিদ্ধান্তের কারণে ট্রাম্পের অগ্রাধিকার তালিকায় ইসরায়েলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইসরায়েলে না গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সফরের সময় বৃহস্পতিবার তুরস্কে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ভাষ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দেশটির ইস্তাম্বুল শহরে অনুষ্ঠিত মস্কো ও কিয়েভের বৈঠকে অংশ নিতে পারেন তিনি। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। গত শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে একটি পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিদল। কূটনৈতিক এই আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগে থেকেই দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০