আজ সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বইমেলা’য় আবর্জনা, অতিষ্ঠ দশনার্থী

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ণ
‘বইমেলা’য় আবর্জনা, অতিষ্ঠ দশনার্থী

বইমেলায় লেকের পাশে পড়ে আছে বিরিয়ানির প্যাকেট, ওয়ান টাইম প্লেটসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট

শেয়ার করুন/Share it

অমর একুশে বইমেলার শনিবার তৃতীয় দিন। এবারের বইমেলার সার্বিক আয়োজনের দায়িত্ব এককভাবে বাংলা একাডেমির। এখনো চলছে মসজিদ, খাবার হোটেল নির্মাণকাজ। অন্যদিকে, মেলায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য বসানো হয়নি ডাস্টবিন। এতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ দর্শনার্থী ও পাঠকরা।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, যত্রতত্র পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নির্মাণসামগ্রী। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে কোথাও বিন পাওয়া যায়নি। উদ্যানের লেকের পাশে পড়ে আছে বিরিয়ানির প্যাকেট, ওয়ান টাইম প্লেট, কপি মগসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট। ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের এসব প্লেট পড়ে আছে পানিতেও। এছাড়া কিছু স্টলের পাশে ব্যাগ ও বস্তায় আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে।

জাগৃতি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী জাহিদ বলেন, অন্যবার তো ডাস্টবিন দেখি। এবার এখনো কোনো ডাস্টবিন বসানো হয়নি। আমাদের স্টলের ভেতরে একটা বালতি আছে, সেখানে ময়লা রাখি। সন্ধ্যায় এসে হয়তো ময়লা কেউ নিয়ে যাবে।

নওরোজ প্রকাশনীর নাঈমুর রহমান বলেন, কোথাও তো ডাস্টবিন নেই। যে যেখানে পারছেন উচ্ছিষ্ট ফেলছেন। অনেক দর্শনার্থী এসে আমাদের জিজ্ঞেস করছেন, ময়লা ফেলবেন কোথায়? এভাবে মেলার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

মেলায় আসা দর্শনার্থী কবির হোসেন বলেন, ময়লা ফেলার জন্য কোথাও তো কোনো বিন দেখছি না। চিপসের প্যাকেট ও পলিথিন যেখানে সেখানে পড়ে আছে। হাঁটার সময় এসব পায়ের মধ্যে এসব পড়ছে।
দর্শনার্থী মো. ইকবাল বলেন, দুপুরে এসে মেলায় কপি খেয়েছি। কিন্তু ওয়ান টাইম কপি মগ কোথায় ফেলবো, দুই মিনিট খুঁজেও বিন পাইনি। পরে মঞ্চের পাশে গিয়ে ফেলেছি। বিভিন্ন জায়গায় কাঠ-রং পড়ে আছে। এতে মেলার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকাশক বলেন, এ বছর বাংলা একাডেমি একাই আয়োজন করছে। কোনো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দায়িত্ব দেয়নি। তাই মেলা কর্তৃপক্ষ এখনো সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারেনি। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টল কর্মীরাও ময়লা পলিথিনে ভরে যেখানে সেখানে রেখে আসছে।
এ অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা হয় মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক কাজ বাকি। আগামীকাল থেকে ডাস্টবিন থাকবে।

আরও পড়ুন:  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন আর নেই
সিলেটের বার্তা ডেস্ক


শেয়ার করুন/Share it
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০