সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে চিনি আসছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিকল্প পথে এসব চিনি প্রতি রাতেই ভারত থেকে আসছে।
এসব আনা নেয়ার সাথে একটি শক্তি শালী সিন্ডিকেট জড়িত।
এরাই আবার কিছু অসাধু সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, পুলিশ, ডিবি, সাংবাদিক ও ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের ম্যানেজ করে সীমান্ত এলাকা পার হওয়ার পর সড়ক পথে সুনামগঞ্জ জেলার বাইরে পাচাঁর করছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুর হয়ে আব্দুজ জহুর সেতুর উপর দিয়ে প্রতি রাতেই বেশ কয়েকটি ট্রাক চিনি নিয়ে সুনামগঞ্জ ছেড়ে যায়।
আর এসব চিনি বোঝাই ট্রাক নির্বিঘ্নে যাওয়ার সুযোগ করে দেন ঐসব অসাধু চক্রের সদস্যরা। চিনি পাচাঁর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আইন শৃংখলা কমিটিসহ বিভিন্ন ফোরামে কথা উঠলেও এসব বন্ধে কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
শনিবার ভোর গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে জেলা শহরের আব্দুজহুর ব্রীজ এলাকা থেকে একটি ট্রাক সহ ২৯৮বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। প্রতি বস্তা ৫০ কেজি ওজনের এই চিনির আানুমানিক মুল্য
২০ লক্ষ টাকা।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত ওয়ালী আশরাফ খানের নেতৃতে একটি অভিযানিক টিম অভিযান চালিয়ে শুল্ক ফাঁকিদিয়ে আনা ২৯৮ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ঢাকা (মেট্রো -ট ১৬-৮৭ ৯৬) একটি ট্রাক আটক করা হয় ।
তবে চোরাচালানের সাথে জড়িতরা বরাবরের মতোই রয়ে গেছে অধরা।
পুলিশ জানায় এ সময় পুলিশের উপস্তিতি টের পেয়ে ট্রাক চালক পালিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত ওয়ালী আশরাফ খান জানান আটককৃত ট্রাক ও শুল্কফাঁকি দিয়ে আনা ২৯৮ বস্তা ভারতীয় চিনি এ বিষয়ে মামলার প্রস্তোতি চলছে।
পুলিশ সুপার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, অভিযান অব্যাহত থাকবে।