আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিল অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়া। একে অপরের কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে যুদ্ধকরেছি, একে অপরকে আশ্রয় দিয়েছি, ধর্ম বর্ণ বিচার করিনি। করোনা কালেও একই চিত্র আমরা দেখিয়েছি, এটাই বাংলাদেশ ধর্মের নামে যেন সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। স্কুলে আমরা পাশা-পাশি বসি , প্রশ্ন করিনা কে হিন্দু, আর কে মুসলমান।
মদিনা সনদে উল্লেখ রয়েছে- সবাইকে সব ধর্মের লোককে সমান অধিকার দিতে হবে। যার যার ধর্ম সে পালন করবে। কিন্তু শত্রুর আক্রমন সবাই মিলে মিশে প্রতিহত করবে। রক্তের রং এক। কবি নজরুল বলেছেন- গাহি সাম্যের গান ..এক হয়ে গেছে হিন্দু মুসলমান। ধর্ম ও নৈতিকতাকে সমুন্নত রেখে বিজ্ঞান ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়ই আমাদের মূল লক্ষ্য
বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন সিলেটের সহযোগীতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুরুতে কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন মাও: মুফতি মামুনুর রশিদ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের ফিল্ড সুপারভাইজার সৈয়দ ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া কনসালটেন্ট মনিরুল হাসান আহমেদ, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী সিলেটের উপ পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমূখ। এ ছাড়া ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চার ধর্মের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।