আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে জাপানকে অনুরোধ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার (১ জুন) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিকে এ অনুরোধ জানান তিনি।
প্রায় সোয়া ঘণ্টাব্যাপী আলাপের পর রাষ্ট্রদূত বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি। কী আলোচনা হলো জানতে চাইলে ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, আপনারা জানেন আজকের আগে দেখার করার সুযোগ আমি পাইনি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেগুলো জানতে পেরেছি। কিন্তু বৈঠকে বিষয়ে আমি কোনোকিছু প্রকাশ করব না, তারাই ব্রিফ করবেন।
এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, জাপনের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। কারণ উনি বাংলাদেশে যোগ দেওয়ার পর আজ সিইসির সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। উনি আমাদের নির্বাচনের রোডম্যাপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি গত সেপ্টেম্বরে ঘোষিত রোডম্যাপের বিষয়ে তাকে ব্রিফ করেছেন, এটাই ছিল মূল বিষয়। এর মধ্যে বিশেষ করে ছিল যে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন অগ্রগতি, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অগ্রগতি, কোন পদ্ধতিতে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকি, সে বিষয়গুলো উনি জানতে চেয়েছিলেন।
ওনার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ, কারণ উনি বাংলাদেশে নিয়োগ পাওয়ার পর এটাই ইসির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, রোডম্যাপে আমরা কী কী বিষয়ে এগিয়ে আছি,জাপানের রাষ্ট্রদূত সেগুলো জানতে চেয়েছেন। নতুন দল নিবন্ধন, আসন বিন্যাস নিয়েও কথা বলেছেন।
অগ্রগতি জানার পর কোনো সন্তুষ্টির কথা বলেছেন কি-না, জানতে চাইলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, এখানে সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির কিছু না। আমরা আমাদের…ওনার ঠিক আছে, না আছে; এটা বলারই তো এখতিয়ার থাকার কথা না। সুতরাং আপনাদের বুঝতে হবে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়। আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন রডম্যাপে যে ঘোষণা দিয়েছেন তার অগ্রগতি কী।
পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, পর্যবেক্ষক নিয়ে উনি (রাষ্ট্রদূত) কিছু বলেননি। সিইসি যেটা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল, আমরা সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইইউ যোগাযোগ রাখছে, সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে তারা টিম পাঠাতে পারেন। সিইসি তাদেরও (জাপানকে) অনুরোধ করেছেন- আপনারা পর্যবেক্ষণ টিম পাঠান, আমরা স্বাগত জানাব। জবাবে ইওয়ামা বলেছেন, উনি তো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। ওনার সরকারের সঙ্গে আগে কথা বলবেন, তারপর সিদ্ধান্ত জানাবেন।
প্রসঙ্গত ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।