কিছুক্ষণের মধ্যে উত্থাপন হতে যাচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বরাবরের মতো এবারও উত্থাপিত হচ্ছে ঘাটতি বাজেট, যেখানে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
ঘাটতি পূরণের সম্ভাব্য উৎসসমূহ
ঘাটতি বাজেটে মূলত রাজস্ব ও অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ঘাটতি মেটানো হয়। সে লক্ষ্যে এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। রাজস্বের সিংহভাগ অর্থ আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর থেকে।
বাজেট ঘাটতি পূরণের সম্ভাব্য উৎসসমূহ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ঘাটতি পূরণে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত করের পরিমাণ ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঘাটতির ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ পূরণে সাহায্য করবে। এর মধ্যে কেবল মূল্য সংযোজন কর থেকে আসবে ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া আমদানি শুল্ক ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, আয়কর ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৪ দশমিক ১ শতাংশ ও অন্যান্য খাত থেকে আসবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
এনবিআর-বহির্ভূত কর যেমন: মাদক শুল্ক, যানবাহন কর, ভূমি রাজস্ব, স্ট্যাম্প বিক্রয়ের অর্থ ও সারচার্জ থেকে ঘাটতি পূরণে ২ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থ আসবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজস্ব ছাড়া এবারের বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ২০ দশমিক ৪ শতাংশ ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬ শতাংশ ও বৈদেশিক ঋণ ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বৈদেশিক অনুদানের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া কর ব্যতীত প্রাপ্ত অর্থের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরেও একই হারে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মূলত লভ্যাংশ, মুনাফা, সুদ, প্রশাসনিক ফি, জরিমানা, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি, সেবা বাবদ প্রাপ্তি, ভাড়া-ইজারা, টোল, অবাণিজ্যিক বিক্রয় ও অন্যান্য খাত থেকে কর-বহির্ভূত এসব অর্থ আদায় করা হয়, যা বাজেট ঘাটতি পূরণে ভূমিকা পালন করে।