টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত সোনাবানের শহর তুরাগ নদের তীরে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে আলমি শূরার তত্ত্বাবধানে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
ইজতেমাকে সামনে রেখে ময়দানের প্রস্তুতি কাজ প্রায় শেষের পথে।
ঢাকা জেলার মুসল্লিদের জন্য নির্ধারিত খিত্তার কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইজতেমা ময়দানে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য তুরাগ নদে পন্টুন সেতু তৈরি করা হচ্ছে।
এছাড়াও শীর্ষ মুরব্বিদের বয়ান শোনার জন্য পুরো ইজতেমা ময়দানে প্রায় পাঁচশ মাইক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
দেশ বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লি এখন ময়দান অভিমুখে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটি। আগামী বুধবার বিকালের মধ্যে তারা তাদের প্রয়োজনীয় ইস্তেমায়ি ছামানা নিয়ে ময়দানে হাজির হবেন।
ভাসমান পন্টুন সেতু ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা টঙ্গী-কামারপাড়া ব্রিজ থেকে আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গী সংযোগ ব্রিজ পর্যন্ত তুরাগ নদে ৫টি ভাসমান পন্টুন সেতু তৈরি করছেন।
পন্টুন সেতুগুলো তৈরি হয়ে গেলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে আগত মুসল্লিরা সহজে তুরাগ নদ পারাপার হতে পারবেন।
ময়দানজুড়ে প্রায় ৫শ মাইক আগত মুসল্লিরা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে শীর্ষ মুরব্বিদের বয়ান শুনতে পারেন সেজন্য পুরো ময়দানে প্রায় ৫শ মাইক স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এর মধ্যে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক ৩২০টি ছাতা মাইক এবং বিদেশি মেহমানদের বয়ান শোনার জন্য বিদেশি কামরা ও তার আশপাশে ২০০টি ইউনিসেফ (প্রতিধ্বনি প্রতিরোধক) মাইন স্থাপন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা ময়দানের মাইকের জামাতের শীর্ষ জিম্মাদার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে প্রথমপর্বের (আলমি শূরার) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে অংশ নেবেন।
২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। ২০২০ সালে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনা-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর ২০২১ ও ২০২২ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।