সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে শিশু বিদ্যালয়ের পাশেই স্টোন ক্রাশার মিল স্থাপনের পাঁয়তারা করছেন এক মিল মালিক।
শনিবার এ সংক্রান্ত ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মোঃ আকবর হোসেন।
জামালগঞ্জ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষিপুর গ্রামের পাশে অবস্থিত তানিয়া মুর্শেদ শিশু বিদ্যালয়।
যেখানে সম্পুর্ন বিনা খরচে হাওরপাড়ের অবহেলিত শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন বিদ্যালয়টি। যা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বেসরকারি উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন। গত এক বছরে বিদ্যালয়টির আশপাশের চার (৪) গ্রামের আড়াইশোরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটিতে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন যাবত বিদ্যালয় ব্যাবস্থাপনা কমিটি লক্ষ্য করছে তানিয়া মুর্শেদ বিদ্যালয়টির পাশেই মমিনপুর পশ্চিম পাড়া নদীর তীরে মুক্তার মিয়ার জমিতে পাথর ভাঙ্গার একটি ক্রাশার মিল স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে মেশিন বসানোর বিভিন্ন আয়োজন চলছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, ২০০৬ পরিবেশ আইন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫শত মিটারের ভেতর স্টোন ক্রাশার স্থাপন সম্পুর্ন বেআইনি ও এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে।
এ বিদ্যালয়ের আশেপাশে স্টোন ক্রাশার মিল স্থাপন হলে এক দিকে যেমন শিক্ষার্থীদের হাঁপানী, শ্বাসকষ্টসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি হবে। অন্যদিকে ৫-৭ হাত দূরেই বসত বাড়ির লোকজনসহ পাশেই বিশাল বড় হালির হাওরের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই গ্রামের লোকজন ইউপি সদস্য ও সচিবকে অবহিত করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।