এক ও অভিন্ন দাবিতে সিলেট বিভাগের তিন জেলা সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গণপরিবহন ধর্মঘট।
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা ১২ ঘন্টা পরিবহন ধর্মঘট পালিত হবে সিলেট জেলায়।
কিন্তু একদিন আগেই সিলেটের আন্ত:জেলা রুটগুলোতে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল।কোনো রুটেই চলছে না দূরপাল্লার গণপরিবহন। ব্যস্ত সড়ক-মহাসড়ক শুক্রবার সকাল থেকেই অনেকটা ফাঁকা।
দক্ষিণ সুরমার কদমতলীস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাসহ মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় দূরপাল্লার কোনো বাস। একই অবস্থা কুমারগাঁওয়ের অপর বাস টার্মিনালের। এখান থেকেও সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি কোনো যাত্রঅবাহী বাস।এ কারণে তিন জেলায় শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে সিলেটেও।এমনটি বলছেন সিলেট জেলা পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, কিছু যাত্রী গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সিলেট থেকে অনেক যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করেন বিভাগের হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে। হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেল, সেটি বন্ধ রয়েছে।
আব্দুল হক নামের এক যাত্রী চিকিৎসার জন্য সিলেটে এসেছিলেন দাবি করে জানান, কীভাবে এখন হবিগঞ্জ পৌঁছবেন সেই চিন্তায় রয়েছেন তিনি। বাস টার্মিনালের বিভিন্ন বাসের কাউন্টারও বন্ধ পাওয়া যায়। সিলেট বিভাগের যাত্রী ছাড়াও ঢাকাগামী যাত্রীরাও আটকা পড়েছেন। কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের অবস্থাও একই। সুনাগঞ্জের উদ্দেশ্যেও কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে কিছু আন্তউপজেলা বাস ও লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী বহনের চেষ্টা করছে।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলায় ধর্মঘট হওয়ায় সিলেট থেকে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে না।পরিবহন বন্ধের আগাম ঘোষণা থাকায় যাত্রীর সংখ্যা কম এবং ভোগান্তিও কম হচ্ছে বলে জানান তিনি।