সুনামগঞ্জের ছাতকে সরকারি জায়গায় বেড়ে উঠা ৫টি অর্জুন নামের ঔষুধি গাছগুলো আর রক্ষা করা গেলনা। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারণে রাতের আধারে গাছগুলো কেটে সাবাড় করে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এখান থেকে পর পর দুই দফায় দূর্বৃত্তরা ৫টি ঔষুধি গাছ কর্তন করেছে।
ছাতক-সিলেট রেলপথের গোবিন্দগঞ্জ রেল গেট এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, আম্বিয়া ও সেলিম বেডিং এর মধ্যখানে রেল সড়কের পাশে মাটিতে পড়ে আছে গাছের ছোট ডাল-পালা ও অর্জুন ফল।
জায়গাটুকু রেলওয়ের ৩৯৮/৩ থেকে ৪ এর সীমান্ত পিলার রয়েছে। সড়কের পশ্চিম পাশে কর্তন করা গাছের গুড়ায় ফেলে রাখা হয়েছে ভিটবালু। আরেক পাশে পাকা পিলার স্থাপনের জন্য মাটি খনন করে গর্তের চিহৃ রয়েছে। স্থানীয় সচেতন লোকজনরা ভিট বালু সরিয়ে কর্তন করা বিশাল বড় ৫টি গাছের গুড়া বের করেন।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে কিছু জায়গা লিজ এনেছেন এখানের কামরুল ইসলাম নামের মা মনি স্টোরের জনৈক ব্যবসায়ি। তিনি ওই জায়গায় পাকা ঘর নির্মাণ করবেন।
পাকা ঘর তৈরির আগে রেলওয়ের কিছু দূর্নীতিবাজদের সাথে বড় অংকের টাকার বিনিময় করে রেল সড়কের পাশে বেড়ে উঠা ঔষধি ৫টি বড় অর্জুন গাছ কেটে নেন। কেটে নেয়া গাছগুলো দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের হবে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে এখানের দুইটি অর্জুন গাছ কেটে নেয়া হয়েছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দিনে অবশিষ্ট ৩টি অর্জুন গাছের ডাল-পালা কেটে দেয়া হয়। এর একদিন পর বুধবার রাতের আঁধারে ওই ঔষুধি গাছগুলোর গুড়া থেকে কেটে সাবাড় করা হয়।
এদিকে, অরক্ষিত ও পরিত্যক্ত গোবিন্দগঞ্জ রেল গেইটম্যান আশরাফুল ইসলাম এখনও বহাল তবিয়তে থেকে রেলের সরকারী জায়গায় ৩টি দোকান কোঠার মাসো সাড়ে ৯হাজার টাকা ভাড়া পকেটস্থ করছেন। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ কার্যত কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে সিলেটের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।