সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, দীর্ঘ নয় বছর পর ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে অনেক গুলো ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৎ, যোগ্য ও আদর্শিক কর্মীরাই সংগঠনের নেতৃত্বে আসবে। কোনো চান্দাবাজ নেতৃত্বে আসবে না। দিনে আওয়ামী লীগ আর রাতে অন্যের কাছে ধর্ণা দিবে তাদেরকে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এক বাড়িতে তিন জন তিন দল করে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্যই সম্মেলন করা হচ্ছে। কোনো পকেট কমিটি করা হবে না। যোগ্য ব্যক্তিকেই নেতৃত্বে আনা হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার (১০অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রায়নগর আগপাড়া কো-অপারেটিভ মাঠে ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন ৫১ বছর পূর্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে মাত্র নয় মাসে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আজ সমাদৃত। সাড়ে তের বছরে দেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে আমরা দেখেছি এক জন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি। যা জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বের ফসল।
তবে স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছ থেকে সর্তক থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠীকে কোনো ভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার কেউ নই। সে জন্য ওয়ার্ডকে শক্তিশালী করতে হবে। জনগণ হচ্ছে ক্ষমতার উৎস। জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের কাছে উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। তবে ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে কিছুটা দুর্বল অবস্থানে আছে।
এই ওয়ার্ড সুন্দর, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে কাজ করতে হবে। মহিলা নেতৃবৃন্দদেরকে সুযোগ দিতে হবে। সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী দেড় বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনেও বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে,ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে তিনি সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকবর হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান মাসুমের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদান করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধারাবাহিকভাবে সম্মেলন হচ্ছে।
আমরা ইতিমধ্যে ১০টি ওয়ার্ডের সম্মেলন করেছি। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার যারা যোগ্য ও ত্যাগী এবং দলের জন্য নিবেদিত তাদেরকে দিয়েই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে অন্যান্য ওয়ার্ডেও যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ার্ডকে সুসংগঠিত করার মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে যাবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার টেকসই উন্নয়নের সমৃদ্ধ দেশ গড়বো, ইনশাআল্লাহ। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মফুর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল আজিম জুনেল, এমরুল হাসান, খলিল আহমদ, শিপা বেগম শুপা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এডভোকেট খোখন কুমার দত্ত, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালমা বাছিত, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দ্প্তর সম্পাদক এডভেকেট শামসুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারি,সালাউদ্দিন বক্স সালাই, দেলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ফয়সল আক্তার হোসেন, আব্দুস সামাল সাহেদ, সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাসিত, এম.এ খান শাহীন, নজমুল ইসলাম নজু, বদরুল ইসলাম বদরু, রুমিন আহমদ, মইনুল ইসলাম মঈন, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, আনছার আহমদ কয়েস, বদরুল ইসলাম, গুলজার আহমদ জগলু, জেলা যুবলীগ নেতা হেলাল আহমদ সহ ওয়ার্ড আওয়ামী এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলরবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে মোঃ সাজোয়ান আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে শফিকুল ইসলাম আলকাছ ও ১ নাম্বার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ আব্দুল মুকিত নির্বাচিত হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন কুরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।