সিলেট ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাস্তা দখলকারী চক্রের হামলা-মামলার শিকার প্রবাসী নারীর পরিবার

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত জুলাই ২৩, ২০২২, ০৯:২৮ অপরাহ্ণ
রাস্তা দখলকারী চক্রের হামলা-মামলার শিকার প্রবাসী নারীর পরিবার

সিলেট নগরীতে রাস্তার একাংশ দখল করে বাসা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় একটি পরিবারকে মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানিও করা হচ্ছে।

শনিবার (২৩ জুলাই) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন নগরীর মিরাবাজার এলাকার ছন্দানীটুলা উদ্দীপন-১৩ নং বাসার মরহুম আফতাব মিয়ার মেয়ে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আছিয়া খাতুন রুনা।

লিখিত বক্তব্যে রুনা জানান, দুই বছর আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মামুনুর রশিদ ছন্দানীটুলা উদ্দীপন ১৮/১ বাসার জায়গা ক্রয় করে সেখানে বাসা নির্মাণ শুরু করেন। বাসা নির্মাণের সময় সামনের রাস্তাটির কিছু অংশ দখল করে নেন। স্থানীয়দের যাতায়াতের এ রাস্তার অংশ দখল করায় রুনার ভাই সিরাজুল ইসলামসহ এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মামুন।

রুনা বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নগরীর ভেতরে বাসা নির্মাণ করতে হলে পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশে ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে ঘর তৈরি করতে হবে। কিন্তু মামুন ৩ ফুট রাস্তাতো ছাড়েনই-নি, উল্টো রাস্তার কিছু অংশ বাসার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এতে স্থানীয়রা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না।

 

এ বিষয়ে এলাকাবাসী গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মেয়র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় কাউন্সিলর ছয়ফুল আলম বাকের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এদিকে, রুনার ভাই সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে বেশি সোচ্চার হলে তার প্রতি বেশি ক্ষিপ্ত হন মামুন। মামুন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে সিরাজ ও তাঁর পরিবারকে হুমকি-ধমকি, এমনকি হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন সন্ধ্যায় সিরাজুল ইসলাম বাসা থেকে বের হতেই ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে তার উপর হামলা করান মামুন।

 

হামলাকারীরা সিরাজকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও রাম দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সিরাজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পর চিকিৎসা নিয়ে ফিরে সিরাজ বাদি হয়ে মামুনসহ ৮/৯ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রুনা আরও বলেন, বর্বর হামলার পর উল্টো মামুনুর রশীদ আহত সিরাজকে প্রধান এবং তাঁর বৃদ্ধ মাসহ ১০/১২ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সিরাজের পরিবার জামিনে আছেন। জামিনে থাকলেও সিরাজ ও তার পরিবারের প্রত্যক সদস্য জান-মালের হুমকিতে আছেন।

 

শুধু সিরাজের পরিবারই নয়- যুক্তরাজ্য থেকে আসা তার বোন রুনাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন মামুন। প্রাণের ভয়ে সিরাজসহ তার পরিবার নিজ বাসায় এবং রুনা তার পৈত্রিক বাসায় যেতে পারছেন না। অপরদিকে, নির্যাতনকারী মামুনুর রশীদ হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে ধরছে না। এ অবস্থায় মামুনের নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে এবং তার শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন রুনা।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রুনার মা শাহানা বেগম, ভাই (আহত) সিরাজুল ইসলাম, মিনহাজ মিয়া, সিবগাত খান আফজল, জহিরা চৌধুরী, মো. সুয়েজ হোসেন ও আব্দুল হাই প্রমুখ।


শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০