ডেনমার্কের রাজপুত্রকে বাদ দিয়ে যেমন শেক্সপিয়ার এর উপন্যাস সম্ভব নয়, ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়।বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন আম্রকাননে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ইংরেজদের সাথে পরাজয়ের মধ্যদিয়ে বাংলার স্বাধীনতা অন্তমিত হয়৷
তারপর থেকে সিপাহী বিদ্রোহ, হাজী শরিয়ত উল্লাহর ফরাজী আন্দোলন, তিতুমীর এর বাঁশের কেল্লার আন্দোলন, মাস্টার দা সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম, প্রীতিলতারা আত্মত্যাগ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য, কিন্তু স্বাধীনতা আসে নি৷
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানীরা আন্দোলন করেছিলেন, রক্ত দিয়েছিলেন জনগণ। কিন্তু স্বাধীনতা আসে নি৷
অবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করেছেন।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বাঙালিরা স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা পায়৷ ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে গর্জে উঠে বাঙালিরা, দলমত নির্বিশেষে কিছু সংখ্যক বিপথগামী দেশীয় দালালরা বাদে৷
যার ফলশ্রুতিতে ত্রিশ লক্ষ শহীদদের রক্তের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে বাঙালিরা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ওক মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যদিয়ে বিপথগামীরা মনে করেছিল বাঙালির হৃদয় থেকে নিঃশেষ হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধুর নাম। কিন্তু ঘাতকদের জানা ছিল না ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটে আদর্শের মৃত্যু ঘটে না কখনো। যা আজ মুজিব শত বর্ষে এসে প্রমাণিত।
লেখক: ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ