আজ বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ১:১৫

পরপারে পিতা, হাসপাতালে মা, নানার বাসায় সন্তানরা

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৩:২৫ অপরাহ্ণ
পরপারে পিতা, হাসপাতালে মা, নানার বাসায় সন্তানরা

রাখে আল্লাহ মারে কে? কপালের লিখন কেউ বদলাতে পারে না। বদলানোর শক্তিই কারো নেই।
চালক-হেলপার, সড়ক আইন না মানাসহ নানা কারণে সড়কে ঝড়তেই আছে তাজা তাজা প্রাণ।

ইমরান খান রুমেল ও অন্তরা। চিকিৎসক দম্পত্তি। যাচ্ছিলেন ঢাকায়। শিশু সন্তান এনায়া ও ইন্তেজাকে রেখে গেলেন তাদের নানার বাসায়।

শুক্রবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুর নামক স্থানে এনা-লন্ডন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এনায়া-ইন্তেজার পিতা পারি জমালেন পরপারে।

স্বামী সাথে থাকা অন্তরা গুরুত্বর আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে।

ডা. অন্তরা আক্তার বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা দিতে সিলেট থেকে এনা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্বামী ডা. ইমরান। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার রশিদপুরের অদূরবর্তী ব্রিজের কাছে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮ জন যাত্রীর মধ্যে রয়েছেন ডা. ইমরান। স্ত্রী ডা. অন্তরার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

জানা গেছে, সিলেট নগরীর ফাজিলচিশত এলাকার বাসিন্দা প্রখ্যাত প্যাথলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন। তাঁর এক ছেলে রুমেল ও এক মেয়ে নূরী ছিলেন। দুই সন্তানই ডাক্তার। তাদের একমাত্র ছেলে ছিলেন ডা. রুমেল শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। পুত্র শোকে কাতর বাবা আমজাদ হোসেন এখন ব্যস্ত পুত্রবধূ ডা. অন্তরাকে কিভাবে বাঁচানো যায় সেই চেষ্টায়। দুর্ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

রুমেল জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে সিলেট নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। তাদের দুই কন্যা শিশু রয়েছে। পরিবারের ৬ সদস্যের মধ্যে ৫ জন ডাক্তার।

আরও পড়ুন:  শ্রদ্ধাঞ্জলি আর কেক কেটে সিসিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১