
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, পিলখানা ট্রাজেডির একযুগ। নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর পার হচ্ছে আজ।
পিলখানা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফুলেল ভালবাসায় নিহত সেনা সদস্যদের স্মরণ করেছে স্বজনসহ দেশবাসী।
সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সামরিক সচিব। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এরপর তিন বাহিনীর প্রধান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা জানান নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের দরবার হল থেকে বিদ্রোহের সূচনা হয়। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে পরদিন ঘটে এর অবসান। ওই ঘটনায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন।
রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকে। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।
আইএসপিআর জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সকল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকল স্তরের সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।
আর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবি’র সকল মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার বাদ জুমা পিলখানায় বিজিবির কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ হবে।