সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার এর সাথে শনিবার ও ভাষা শহীদ দিবসের ছুটি যোগ হয়ে টানা তিন দিনের ছুটিতে যেনো বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নেমেছে কর্মব্যস্ত মানুষজনের মাঝে।
একসঙ্গে তিনদিনের ছুটি পাওয়ায় পর্যটন নগরী খ্যাত দু’টি পাতা একটি কুড়ির দেশ আধ্যাত্মিক রাজধানীতে পর্যটকদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা সিলেট এসে পৌঁছেছেন। থাকবেন আরও দুইদিন। দেখবেন ঘুরে সৌন্দর্য্যের লিলাভূমি সিলেটকে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সিলেটের প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড় ছিল দেখার মতো।
হযরত শাহজালাল, শাহপরাণ রহ. এর মাজার শরীফ, চা বাগান, জাফলং, লালাখাল, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্টে ছিল লোকে লোকারণ্য।
রাজধানী থেকে জাফলং দেখতে এসেছেন তাসনিম জাহান তমা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। সন্ধ্যায় শাহজালালের মাজার ঘুরে দেখেন তিনি। জানান, এই নিয়ে সিলেটে দ্বিতীয় বার ঘুরতে আসলাম। সিলেটের অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে দেখার মতো। দারুণ লাগছে।
আবুল হাসনাত খুলনায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে চাবাগান আর বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ দেখতে এসেছেন। তিনি এবারই প্রথম সিলেট এসেছেন। জানালেন সিলেটে এসে তার ভাললাগার কথা। বলেন, দেশের অন্যান্য পর্যটন স্পটের ছেয়ে সিলেট একটু ভিন্ন। এখানে আসলে মনে একটা আলাদা তৃপ্তি পাওয়া যায়।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর আখতার হোসেন।
তিনি বলেন-জাফলং, লালাখাল, রাতাগুল, চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গল, গ্রান্ড সুলতান, নিলাদ্রী, শিমুল বাগানসহ সিলেটের সকল পর্যটন স্পটে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি এবং করবো।
সিলেট ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন বলেন, পর্যটক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ রেসকিউ টিম, ইভটিজিং কন্ট্রোল টিম, ড্রিংকিং জোন, দ্রুত চিকিৎসাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে পর্যটকদের নিরাপত্তায়।
তিনি জানান, আমাদের পুলিশের নজরদারির আওতায় রয়েছে জাফলং, লালাখাল, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট, হযরত শাহজালাল(র.) মাজারসহ সব স্পট।