
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবদলে প্রথম সারির সম্মুখ যোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন আর অপমানসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে কমিটি প্রত্যাখান করেছে যুবদলের একাংশের নেতারা।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার যুবদলের নতুন কমিটির পদপ্রাপ্ত একাংশ ও বঞ্চিতরা।
এর মধ্যে রয়েছেন ঘোষিত কমিটির ৪ জন যুগ্ম আহবায়ক।
দলের যোগ্য ত্যাগী কারা নির্যাতিত সিনিয়র জুনিয়রদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা, অন্যতায় ৭২ ঘন্টার পর কঠিন সিদ্ধান্তের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৩টায় ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্য্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুন কমিটির দ্বিতীয় যুগ্ম আহবায়ক এম.জে আহমেদ জাবেদ।
লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, দীর্ঘ ১৮ বছর পর গত ৭ ফেব্রুয়ারী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় সিলেট জেলা যুবদল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, নতুন কমিটিতে অরাজনৈতিক, অপরিচিত ও বিশেষ ব্যক্তির পছন্দের লোকদের প্রধাণ্য দেয়া হয়েছে এছাড়া কমিটির একই ব্যাক্তি একাধিক কমিটিতেও রয়েছেন, যা অনৈতিক ও দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী। তাছাড়া বঞ্চিতদের দাবী ঘোষিত কমিটির এক তৃতীয়াংশ রয়েছেন বিভিন্ন দলের, অটোরিকশা শ্রমিক ও প্রবাসী বহিরাগতরাও।
তাদের দাবী জাসদ ছাত্রলীগ থেকে আসা আব্দুল কাদির জিলাকে আহবায়ক করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ জিলুকে উপজেলা যুবদলের প্রথম যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছে যা সত্যি হাস্যকর। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন জামাত, জাতীয় পার্টি, ছাত্রলীগের সাবেক কর্মিরাও।
জামাতের কর্মী আতিক আহমেদ চৌধুরী ছিল ছাত্র শিবিরের সাথি। আরো সদস্য পদ পাওয়া শেখ মোঃ জাকারিয়া, কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম, ইন্তাজ মিয়া, রঞ্জিত দাস এরা জাতীয়তাবাদী পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
যুবদলের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের সিভি গ্রহন করেও অপমান ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে, মানা হয়নি সিনিয়র জুনিয়রিটি। তাদের দাবী দলের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নগ্ন গ্রুপিংবাজদের স্বার্থ হাসিল করায় তারা এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-আহবায়ক যথাক্রমে মাজহারুল ইসলাম রাসেল, সাইফুল ইসলাম খান, নাছির উদ্দিন লিটন। সদস্যরা হলেন মতিউর রহমান মুকুল, সামাদ হোসেন রুমেল, দিনার আহমদ শাহ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ছুটন, যুবদল নেতা রিকন আহমদ চৌধুরী তুহিন, ফখরুল ইসলাম নিশাত, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহিন আহমেদ, যুগ্ন আহবায়ক বদরুল ইসলাম খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মোঃ আলী রাসেল, কমল হাসান বাবর, শাওন আহমেদ, আখলাকুল করিম রিমন, হাছন আলী, সুজন আহমদ, আরিফ করিব, বাবুল মিয়া, দাহিরুল করিম রানা।
প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সিনিয়র সদস্য মোঃ দেলওয়ার হোসেন পাপ্পু, আরকে দাস চয়ন, ফরিদ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান কিনেল, রুমেল আলী।
এছাড়া সংবাদ কর্মী আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুস সালাম, আসিফ ইকবাল ইরন, সামি হায়দার প্রমূখ।