
সিলেটের রেলগেট থেকে চন্ডিপুল। দুরত্ব হবে এক থেকে দেড় কিলোমিটার। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে নেই কোনো জেব্রা ক্রসিং, সতর্কতা বা চোখে পড়ার মতো রংও করা নেই সড়কে।
এসব কিছু না থাকলেও এইটুকুতে আছে ১৬টি স্পীড ব্রেকার। আর এই স্পীড ব্রেকার বাজাতে পারে যে কোনো যান আরোহীর মরণের ঢোল। মরণ ফাঁদ যে কেউ বিছিয়ে রেখেছে সারি সারি করে।
প্রতিদিন এখানে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে । গত শুক্রবার রাতে বঙ্গবীর রোডে এই স্পিড ব্রেকারে একটি মবিলভর্তি ওয়াগন ঝাঁকুনি খেয়ে মবিল পড়ে যায়। রাতের বেলা এই স্পিড ব্রেকারে মোটর সাইকেল ব্রেক কসতেই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন করিম উল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী, সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা মো. আফজল হোসেন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি এখনো বাড়ীতে চিকিৎসাধীন।
তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন-এই সড়কটিতে দেয়া স্পীড ব্রেকারগুলো আসলেই গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রণ করছে না বরং মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানান,
এই রোডে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরাও এজন্য বিভিন্ন সময় আহত হন। কিন্তু চন্ডিপুল আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ চত্বরে তিনটি সড়ক মিলিত হয়েছে। কিন্তু এখানে কোন স্পিড ব্রেকার বা সতর্কতামূলক কোন বোর্ড নেই ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।