
পুলিশের লাঠিচার্জেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে দুর্ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় লোকসমাগম।
তেল নয়, যেনো আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন তারা। বাড়ীতে থাকা জগ, মগ, কলসি, বদনা কিনা বাকি আছে। সবকিছুতেই এখন তেল। তেলময় হয়ে উঠেছে তাদের কপাল।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে তেল সংগ্রহে হুমড়ি খেয়ে পড়া শিশু থেকে বৃদ্ধ পুরুষ মহিলাদের কথা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে ৯৫১ নং তেলবাহী ট্রেন ২০টি বগি নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে আসছিল। রাত ১২টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে কায়স্থগ্রাম এলাকার গুতিগাঁওয়ে ১০টি তেলের বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে যায়। এ সময় উপড়ে পড়া ৫টি বগি থেকে তেল পড়তে থাকে। এ খবর জানাজানি হলে ওই রাত থেকে শুক্রবার সারাদিন রাত তেল সংগ্রহে ব্যাস্থ হয়ে উঠেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় একদিকে নিরাপত্তা রক্ষীদের বাঁধা আর অন্যদিকে কয়েক’শ মানুষের হাড়ি পাতিল বালতি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি! এ যেন ভয়কে জয় করে আলাদীনের চেরাগ পেয়েছেন তাঁরা, দেখে মনে হয়েছে তেলের পুকুরে সাঁতার কাটছেন তাঁরা।
এ সময় কথা হয় পার্শ্ববর্তী বাগান থেকে আসা দুর্গা প্রসাদের সাথে। পেশায় ট্রলার চালক দুর্গা জানান, খবর পেয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আসি এবং প্রায় এক’শ লিটার তেল সংগ্রহ করতে পেরেছি। রেললাইনের পাশে বাড়ি সজল জানান, আল্লাহ সুযোগ করে দিয়েছেন তাই প্রায় এক হাজার লিটার তেল সংগ্রহ করতে পেরেছেন তিনি। পানির কলসিতে পানি ফেলে তেল সংগ্রহ করেছি জানালেন পারুল বেগম।
এভাবে কয়েক হাজার লিটার তেল সংগ্রহ করতে পেরেছেন স্থানীয়রা। কেউ স্পটে বিক্রি করেছেন আবার কেউ ভালো মুল্যের আসায় ঘরেই রেখে দিয়েছেন।
তেল নিয়ে তেলেছমাতিতে দিনরাত কেটে যায় স্থানীয়দের আর কোটি কোটি টাকার লস গুনতে হলো পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের।