
আল জাজিরাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন-কাতারের দোহাভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা দেখি কীভাবে কী করা যায়। তথ্যগত যদি ভুল থাকে সেগুলো নিয়ে নিশ্চয়ই আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবো।’
তিনি আরওবলেন, ‘আল জাজিরা আরও কয়েকটি পর্ব দেখাবে শুনেছি। কিন্তু সম্প্রচার বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা আশা করবো আল জাজিরা আরও দায়িত্ববান হবে। অনেকের ধারণা, কেউ তদের টাকা দিয়েছে এবং এজন্য তারা এই প্রোগ্রাম করেছে।’
তিনি বলেন, আল জাজিরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং মনে হচ্ছে এটি ফেক নিউজ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আল জাজিরা একটি ছবি দিয়ে বলছে, প্রধানমন্ত্রীর পেছনে দুই জন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছে এবং বলছে তারা নাকি প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষী। প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, তখনও ওনার দেহরক্ষী ছিল না। দলের নেতাকর্মীরাই ওনার দেহরক্ষী। ছবির পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে দেহরক্ষী হয়ে যাবে এটি ঠিক নয়। এটি ডাহা মিথ্যা, আল জাজিরার মতো নামকরা মিডিয়া এটা দিয়েছে।’
আল জাজিরার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এটির নিন্দা জানিয়েছি। আল জাজিরা বাংলাদেশের ভালো দেখতে পারে না। শুধু বাংলাদেশ না, মুসলমান দেশগুলোর যত দোষ খুঁজে বের করা আল জাজিরার কাজ।’
টিভি চ্যানেলের টাকা দেয় কাতার, কিন্তু এর সব প্রোগ্রামের ডিজাইন করে ব্রিটিশরা- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন জামাই (ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান) ওদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এটি খুব দুঃখজনক যে তারা আমাদের ভালো জিনিসের বিপক্ষে আছেন।’