
মহামারী করোনা ভাইরাসের ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছেছে মৌলভীবাজারে।
আজ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধে বহু প্রতিক্ষিত ভ্যাকসিন পৌঁছেছে।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে বেক্সিমকো ফার্মার প্রতিনিধিরা হিমনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সেন্টারে যথাযথ নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন রিসিভিং কমিটির কাছে ৫ কার্টন ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেছেন। এতে মোট ৬ হাজার ভায়ালের মধ্যে ৬০ হাজার ডোজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভ্যাকসিনগুলো দিয়ে ৬০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনেট করা যাবে। প্রাপ্ত ভ্যাকসিনগুলো প্রথমদিকে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকসহ সকল ফ্রন্টলাইনারদের দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ধারাবাহিকভাবে ভ্যাকসিন আসতে থাকবে।
ভ্যাকসিন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সদ্য যোগদান করা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, শিগগির ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে যা পরবর্তীতে অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে পরবর্তী আপডেট নিয়মিত জানানো হবে।
মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই করোনা টিকা বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি কমিটি আছে। যেমন- করোনা বিষয়ক কমিটি, করোনা ভ্যাকসিন রিসিভিং কমিটি, সারভাইলেন্স কমিটি। করোনা টিকা প্রদানের পরে যদি কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে এই সারভাইলেন্স কমিটি তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ সকল কমিটিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধিও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার করোনা রিসিভিং কমিটির মাধ্যমে ৫ কার্টন ভ্যাকসিন এসেছে। প্রতিটি কার্টনের মধ্যে ১ হাজার ২শ ভায়াল করে মোট ৬ হাজার ভায়াল রয়েছে। প্রতিটি ভায়ালে ১০টা করে ডোজ থাকবে। এর থেকে মোট ৬০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনেট করা যাবে। প্রথম দফায় দেওয়া হবে শুধুমাত্র জেলা সদর হাসপাতাল এবং প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এর বাইরে দেওয়া হবে না। এই টিকা প্রদানের জন্য রয়েছে প্রশিক্ষিত কর্মী। যারা বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টিকাদনের কোর্সটি সুসম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি উপজেলায় এই টিকাদানের জন্য ২টি করে বুথ থাকবে। আর জেলা সদর হাসপাতালে ৮টি বুথ থাকবে।