
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়লে ছাত্রলীগ কর্মী সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সিআইডি সিলেট জোনের সহকারী পুলিশ সুপার শামীম উর রশীদ পীর।
আদালত এই চার্জশিট আমলে না এখনো নেয় নি, তবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যালোচনার দিন ধার্য করে দিয়েছে।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থ, সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিয়াজী, সহসম্পাদক মোশাররফ হোসেন রাজু, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন, ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক, আব্দুল কুদ্দুস নোমান, সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সহ-সভাপতি নুরে আলম, আইন সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এসকে হাসিবুর রহমান, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ, হাবিবুর রহমান হাবিব. সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী জেসমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক জাকির খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক, ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী, সহসম্পাদক সুকান্ত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, বহিরাগত সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুল হক আলম, রানা আহমদ শিপলু ও এমদাদুল হক (খোকন)।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর হল দখলকে কেন্দ্র করে পার্থ-সাঈদ-সবুজ গ্রুপের সাথে অঞ্জন-উত্তম গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ প্রেক্ষিতে সুমনের মা প্রতিভা দাস ২২ নভেম্বর জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৬ বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার চার্জশিটটি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয়।