সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী ৪ মেয়র প্রার্থী বহিস্কার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে দুয়েক দিনের মধ্যে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে সিলেট আওয়ামী লীগ পরিবার।নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী হওয়ায় এই চার বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিস্কার চেয়ে কেন্দ্রে সুপারিশ করেছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ।
এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এদের বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল মতে, তৃতীয় ধাপে গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনে আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।
গোলাপগঞ্জে নৌকার প্রতীক পেয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহেল আহমদ।আওয়ামী লীগ মনোনীত এ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন দলের পৌর কমিটির সভাপতি বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল ও পৌর কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক, সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু।যদিও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রাবেল ও জাকারিয়া আহমদ পাপলু দলের মনোনয়ন প্রতাশি ছিলেন।কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের পরিবর্তে রুহেল আহমদ নৌকা প্রতীক দেওয়ায় স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন।
দলীয় নেতারা দফায় দফায় তাদের সাথে বৈঠক করে দলৗয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও সায় মিলেনি বিদ্রোহীদের।দলীয় নেতাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত তারা।
একইভাবে জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন। তার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদ ও উপজেলা যুবলীগের সদ্য পদত্যাগ করা আহ্বায়ক আবদুল আহাদ।দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি ফারুক ও আহাদ নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন।এরমধ্যে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে যুবলীগের আহ্বায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে আহাদ।