
সিলেট সিটি করপোরেশনের সংস্কার কাজের জন্য থাকা নগরীর আম্বরখানায় খোলা ড্রেনের পড়ে কবি ও ছড়াকার আব্দুল বাসিত মোহাম্মদ এর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়েরকৃত একটি রিটের শুনানি শেষে সোমবার এ নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জে.বি.এম. হাসান এবং বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের বেঞ্চ।
গত ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর আম্বরখানার হুরায়রা ম্যানশনের সামনে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্মাণাধীন খোলা ড্রেনে পড়ে আব্দুল বাসিত মোহাম্মদের পেটের মধ্যে রড ঢুকে যায়।
সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে তিনি মারা যান।
আব্দুল বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর ঘটনায় সিটি করপোরেশনের নির্মান ও উন্নয়ন কাজে জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ব্যর্থতা কেন বেআইনী ঘোষণা হবে না, আব্দুল বাসিতের মোহাম্মদের মৃত্যুর জন্যে সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক অবহেলা দায়ি থাকার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ প্রার্থনা, সিটি কর্পোরেশনের চলমান নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা এবং কবি আব্দুল বাছিত মোহাম্মদের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদেশ প্রার্থনা করে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন হাই কোর্টের আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী দীপন।
তার আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার এ ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
এ প্রসঙ্গে এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত ও অনিরাপদ উন্নয়নের কারণে নগরের সব বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহচ্ছেন। এমন দায়িত্বহীন কাজেরই বলি হয়েছেন আব্দুল বাসিত মোহাম্মদ। তার প্ররিবারকে ক্ষতিপুরণ প্রদান ও উন্নয়নকাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে আমি উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। আদালত ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানিকালে রিটকারীর পক্ষে ব্যারিষ্টার অনিক আর হক, এডভোকেট সৈয়দ ফজলে ইলাহী ও এডভোকেট আনিছ আহমদ অংশ নেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, আব্দুল বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর পর এঘটনার জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) দায়ী কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে নগরীতে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন সংগঠন।
এমন দাবির সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এই কমিটি সিসিকের সংশ্লিষ্ট কাজের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হক, সহকারী প্রকৌশলী রজি উদ্দিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবপ্রদ দাস, একজন কার্যসহকারী ও ঠিকাদার অরবিন্দ পালকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করে। তবে এখন পর্যন্ত এই মৃত্যুর ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নি সিসিক।