
রিকশা মানেই যানজট। রিকশা মানেই সৌন্দর্য্যে ভাটা। সিলেট নগরীর ৩টি সড়ক এখন রিকশাবিহীন।
নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্রা সড়কে চলছে না কোনো রিকশা।
না চলা যানের মধ্যে আছে ঠেলা, ভ্যানও।
দু’ চাকার এই যানবাহন চলাচল বন্ধে কার্যকরি উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
রবিবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে সিসিক। ফলে সড়কটি যানজটমুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, রিকশা চলাচল বন্ধ করতে চৌহাট্টা থেকে মধুবন পয়েন্ট পর্যন্ত ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে সিসিক। বেলা দেড়টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে নগরের জিন্দাবাজার পয়েন্টে সিসিকের চারজন সেচ্ছাসেবক কাজ করছিলেন। বন্দর-জিন্দাবাজার ও জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কে কোনো রিকশা প্রবেশ করার চেষ্টা করলেও তারা ঘুরিয়ে দিচ্ছেন।
রিমন নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক সিলেট মিররকে বলেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। মধুবন পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত প্রত্যেক গলিপথের মুখেও একজন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছেন। সিসিকের স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
রিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ায় উল্লিখিত সড়কে যানজটের দেখা মেলেনি। রাস্তার দু’দিকে কেবল সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও চার চাকার যান চলাচল করতে দেখা গেছে। পথচারী জুনেদ আহমদ সিসিকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রথমদিকে কিছুটা কষ্ট হলেও সিসিকের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আজ যানজটমুক্ত শহর দেখে ভালই লাগছে।
তবে, জিন্দাবাজার-জেলরোড সড়কের বারুতখানা পয়েন্টে দুপুর সাড়ে ১২টার থেকে দেড়টা পর্যন্ত তীব্র যানজট ছিল। সেখানে ট্রাফিক পুলিশের কোন সদস্য নেই। সাধারণ মানুষকে সেখানে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে।
তবে, বিষয়টি আগে থেকে জানা না থাকার কারণে অনেকে বিপাকেও পড়েছেন। রিকশাযাত্রী সুমাইয়া বিনতে রুবাবা জানান, তিনি বিষয়টি জানতেন না। কাজী ইলিয়াস সড়কের রয়েল হাসপাতালে তার পরিবারের একজন সদস্য চিকিৎসাধীন। রিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ায় তিনি জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে হেটে রওয়ানা দেন।
জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধ করার জন্য ১ জানুয়ারি থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সিসিক। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সিসিক’র পরিকল্পনা অনুযায়ী জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে সিসিকের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।