
সিলেট নগরীজুড়ে সিলেট সিটি করপোরেশন এর উন্নয়ন এর গর্ত আর গর্ত চোখে পড়ে। কবে যে এই গর্ত নামের মরণফাঁদের কাজের ইতি ঘটবে কে জানে?
সম্প্রতি সিলেটে এই গর্তের ফাঁদে পড়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিলেটের প্রতিথযশা কবি আব্দুল বাছিত মোহাম্মদ।
এরপর নগরীতে আন্দোলন হয়। হয় মানবন্ধন কর্মসূচি পালন। শোকজ করা হয়েছিল সিসিকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে৷
তবুও কাণ্ডজ্ঞানহীন সিসিকের এ-ই উন্নয়নে নগরবাসী প্রতি মুহূর্তে যেনো মৃত্যুর তীর ঘেষে চলতে হয়।
সড়কের এক পাশের ড্রেনেজ কাজ শেষ হতে না হতেই অন্যদিকে কাজ শুরু। এতে করে বৃদ্ধি পাচ্ছে যানজটসহ ভোগান্তি।
এসব বড় বড় গর্তে মাটি বা কংক্রিট দিয়ে ভরাটেরও কোন খবর নেই কর্তৃপক্ষের।
জনগণের স্বার্থ আর জীবনের মূল্য সিসিকের কাছে না থাকলে আছে জনতার কাছে।
সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকায় এমনই এক বিপজ্জনক গর্ত। যেখানে সম্প্রতি বাস থেকে নামার সময় একজন প্রতিবন্ধী পড়ে আহত হয়েছিলেন।
বিষয়টি স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলে। পথচারীদের সর্তক করতেই স্থানীয় যুবক মোক্তার আহমদ টানিয়েছেন ‘সাবধান’ বিপদ জনক গর্ত৷
এদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার খোঁড়খুড়িতে ধসে পড়েছে শিবগঞ্জ পয়েন্টের শামীম আহমদ নামের একজনের ব্রাদ্রাস ফার্মা, ধানসিঁড়িসহ তাঁর তিনটি দোকান।
এ ব্যাপারে মিরাবাজার এর ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার বলেন-এটি একেবারে নির্বোধ লোকের কাজ। জনস্বার্থ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান সিসিক আজ জনগণের জীবন নিয়ে খেলছে৷
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে সিলেট সিটি করপোরেশন এর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।