
চলন্তবাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টাকারী লম্পট হেলপার রশিদকে আটক করেছে পিবিআই।
আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর)সকালে অভিযান চালিয়ে ছাতক উপজেলা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তবে এখনো অভিযুক্ত চালক এখনো গ্রেফতার হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান।
এর আগে শনিবার রাতে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় চালক ও হেলপারসহ তিনজনের নামে বাদী হয়ে দিরাই থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা।
এর আগে দুপুরে দিরাই-মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলাচলকারী ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই গাড়ির চালক ও হেলপাররা। এ সময় দিরাই পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই কলেজছাত্রী সম্ভ্রম বাঁচাতে দিশাহারা হয়ে গাড়ি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন।
মেয়েটির চাচা বলেন, আমার ভাতিজি দিরাই সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। সিলেটের লামাকাজি এলাকায় তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল। তার বোনজামাই অজিত দাস তাকে (সিলেট-জ-১১-০৭২৩) সিরিয়ালের লোকাল বাসে তুলে দেয় দিরাইয়ে ফেরার জন্য। সে একাই ফিরছিল।
পথিমধ্যে গাড়ির যাত্রীরা একে একে নেমে গেলে গাড়িটি একপর্যায়ে ফাঁকা হয়ে যায়। লোকাল বাস হলেও নতুন যাত্রী উঠানো থেকে বিরত থাকে গাড়ির স্টাফরা। চালক ও হেলপার মিলে আমার ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। উপায়ন্তর না পেয়ে সে সুজানগর এলাকায় গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়।
দিরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিদ্যুৎ দাস বলেন, মেয়েটির মাথায় ও হাতে জখম ছিল। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।