
সিলেটের তিনটিসহ দেশের ৬৪টি উপজেলায় নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে রুহেল আহমদ, জকিগঞ্জে বর্তমান মেয়র খলিল উদ্দিন ও মৌলভীবাজারে ফজলুর রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ধাপের এসব পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারা।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এসব প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
বৈঠক শেষে রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় মেয়র প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
দেশের অন্য ৬১ জেলার মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন, দিনাজপুরের হাকিমপুরে এনএএম জামিল হোসেন চলন্ত, নীলফামারীর জলঢাকায় মো. মোহসীন, কুড়িগ্রামের উলিপুরে মামুন সরকার, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খন্দকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, বগুড়ার ধুনটে টিআইএম নুরুন্নবী, শিবগঞ্জে তৌহিদুর রহমান মানিক, গাবতলীতে মোমিনুল হক (শিলু), কাহালুতে হেলাল উদ্দিন কবিরাজ ও নন্দীগ্রামে আনিছুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস, নওগাঁর ধামইরহাটে আমিনুর রহমান, নওগাঁ পৌরসভায় নির্মল কৃষ্ণ সাহা, রাজশাহীর মুন্ডুমালায় আমির হোসেন (আমিন) ও কেশরহাটে শহিদুজ্জামান, নাটোরের সিংড়ায় জান্নাতুল ফেরদৌস, পাবনা পৌরসভায় আলী মুর্তজা বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ফারুক হোসেন ও কোটচাঁদপুরে শাহাজান আলী, যশোরের মনিরামপুরে কাজী মাহমুদুল হাসান, নড়াইল পৌরসভায় আঞ্জুমান আরা ও কালিয়ায় ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা), বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এসএম মনিরুল হক, খুলনার পাইকগাছায় সেলিম জাহাঙ্গীর, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মনিরুজ্জামান, বরগুনা পৌরসভায় কামরুল আহসান (মহারাজ) ও পাথরঘাটায় আনোয়ার হোসেন আকন, ভোলার বোরহানউদ্দিনে রফিকুল ইসলাম ও দৌলতখানে জাকির হোসেন, বরিশালের গৌরনদীতে হারিছুর রহমান ও মেহেন্দিগঞ্জে কামাল উদ্দিন খান, ঝালকাঠির নলছিটিতে আ. ওয়াহেদ খাঁন, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে গোলাম কবির, টাঙ্গাইল পৌরসভায় এসএম সিরাজুল হক, মির্জাপুরে সালমা আক্তার, ভূঞাপুরে মাসুদুল হক মাসুদ, সখিপুরে আবু হানিফ আজাদ ও মধুপুরে সিদ্দিক হোসেন খান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শওকত উসমান, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় মোহাম্মদ ফয়সাল, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, রাজবাড়ীর পাংশায় ওয়াজেদ আলী, শরীয়তপুরের নড়িয়া আবুল কালাম আজাদ, ভেদরগঞ্জে আবদুল মান্নান হাওলাদার, জাজিরায় অধ্যাপক আবদুল হক কবিরাজ, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মনির উদ্দিন, শেরপুরের নকলায় হাফিজুর রহমান ও নালিতাবাড়ীতে আবু বক্কর সিদ্দিক, ময়মনসিংহয়ের ভালুকায় একেএম মেজবাহ্ উদ্দিন, ত্রিশালে নবী নেওয়াজ সরকার, গৌরীপুরে শফিকুল ইসলাম হবি ও ঈশ্বরগঞ্জে হাবিবুর রহমান, নেত্রকোনার দূর্গাপুরে আলা উদ্দিন, কুমিল্লার লাকসামে আবুল খায়ের, বরুড়ায় বক্তার হোসেন ও চৌদ্দগ্রামে মীর হোসেন মীরু, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আসম মাহবুব-উল আলম, ফেনী পৌরসভায় নজরুল ইসলাম স্বপন, নোয়াখালীর চৌমুহনীতে আক্তার হোসেন ও হাতিয়ায় কেএম ওবায়েদ উল্লাহ এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আবুল খায়ের পাটওয়ারী।