
সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: সিলেটে মুজিবুর রহমান ডালিম নামের এক সাংবাদিকের বাসায় নারী মাদক কারবারিদের নেতৃত্বে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট শহরতলীর শাহপরাণ উপশহর এলাকার এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, ওই এলাকার সাবেক নারী ইউপি সদস্য সুধা, তার মেয়ে শ্যামলীর নেতৃত্বে দৈনিক সিলেটের দিনরাত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মো. মুজিবুর রহমান ডালিমের বাসায় এই অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এসময় তারা ৩/১ (৪) নং রোডস্থ সাংবাদিক ডাালিমের বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ডালিম জানান, বেশ কিছুদিন ধরে শাহপরাণ উপশহর এলাকায় সব ধরণের মাদক কেনা-বেচা বেড়ে গেছে। এ কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে মাদকের ডিলার স্থানীয় সাবেক মহিলা মেম্বার সুধা, তার মেয়ে শ্যামলি, সাক্ষাৎ ও রুনিসহ ২০-২২ জন।

এর প্রতিবাদে সম্প্রতি স্থানীয় মসজিদে জরুরি বৈঠকে এলাকার গণমান্য মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাদকবিক্রেতাদের নাম উল্লেখ করে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ডালিম সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকে ওই এলাকায় পুলিশি টহল বেড়ে যায় এবং মাদকবিক্রেতারা তাদের অবৈধ ব্যবসা চালাতে না পারায় সাংবাদিক ডালিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এর আগে মসজিদের সেই বৈঠকের পর তাঁর বাসার সামনে এসে মাদকবিক্রেতারা তাঁকে প্রকাশ্যে হুমকিও দিয়ে যায়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)-৯ এর একটি দল স্থানীয় এক মাদকবিক্রেতাকে ধরে নিয়ে যায়। এই আটকের ঘটনা এবং সাংবাদিক ডালিমের মাদকবিরোধী সোচ্চার অবস্থানের জের ধরে সাবেক মহিলা মেম্বার সুধা, তার মেয়ে শ্যামলি নেতৃত্বে স্থানীয় মাদক কারবারিরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭টার দিকে সাংবাদিক ডালিমের বাসায় হামলা চালায়।
হামলার পরপরই সাংবাদিক ডালিমের স্ত্রী ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন মুরুব্বিকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে অবগত করেন। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তবে যাওয়ার আগে সাংবাদিক ডাালিমের বাসায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মাদক কারবারিরা। এসময় তাঁর বাসার বসার ঘরের টেবিলের ড্রয়ারে থাকা ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এছাড়াও ভাঙচুরের ফলে প্রায় দেড়-দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানান সাংবাদিক ডালিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরাণ (রাহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের শাহপরাণ তদন্তকেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের সঙ্গে সাংবাদিক ডালিমের ফোনে কথাও হয়েছে। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযোগ দায়েরের পরপরই আমরা এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।