
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: ২০ টাকা পাওনা ছিল মুদী দোকানির। এই টাকা নিয়ে দোকানদার ও প্রতিবেশি ক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। মুদি দোকানির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় বাপ্পী মিয়া নামের এক যুবকের।
নিহতের বাপ্পি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের ফজিল হকের ছেলে।
এঘটনায় আহতরা হলেন- হ্নদয় মিয়া (২৮) ও তার বন্ধু হাসান মিয়া (২৭)।
গতকাল শনিবার রাত ১০টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের মুদি দোকানদার ইকবাল হোসেন একই গ্রামের ফজিল হকের ছেলে বাপ্পি মিয়ার কাছে দোকান বাকি বাবদ ২০টাকা পাওনা ছিল। শনিবার রাত ৮টায় বাড়ির সামনের রাস্তায় দোকান বাকির ২০টাকা নিয়ে বাপ্পি মিয়ার সাথে মুদি দোকানদার ইকবাল হোসেনের ছেলে হ্নদয় মিয়া ও তার বন্ধু একই গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া মধ্যে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাপ্পি মিয়ার পেটে আঘাত করে হ্নদয় মিয়া ও হাসান মিয়া পালিয়ে যায়। আর বাপ্পি মিয়া জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এঘটনার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন এসে বাপ্পি মিয়াকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ৮টায় পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শহিদুর রহমান বলেন- ধারালো ছুরির আঘাতের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে বাপ্পি মিয়ার মৃত্যু হয়েছে,রাতেই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে মামলার প্রস্তুতি চলছে,তবে ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।