
সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন- রায়হান হত্যার সঠিক তদন্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আজ সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন রায়হানের পরিবারের সদস্যরা।
এসময় তারা রায়হান হত্যা মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন। এ হত্যার সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন রায়হানের চাচা মইনুল ইসলাম কুদ্দুস, ভগ্নিপতি মোফাজ্জেল আলী, মামাতো ভাই শওকত আলী এবং রায়হানের আত্মীয় ও সিলেট সিটি কাউন্সিলর মুখলিসুর রহমান কামরান এবং ব্যারিস্টার ফয়েজ আহমেদ।
সোমবার রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর ভোর রাতে রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
রায়হান ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ ছিল পুলিশ ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্ত দল ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর সত্যতা পেয়ে জড়িত থাকায় ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন। বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন। ঘটনার পর অন্য ছয়জন পুলিশ হেফাজতে থাকলেও আকবর পলাতক ছিলেন।