
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: ১ লাখ ৬০ হাজার লিটার তেল নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনের বগি।
লাইনচ্যুত বগি থেকে তেল সংগ্রহের হিরিক পড়েছে ওই এলাকায়। হাড়ি-পাতিল, কলস-জগ ইত্যাদি বিভিন্ন পাত্র নিয়ে তেল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আজ শনিবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তেলবাহী বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় তেল ছড়িয়ে পড়েছে রেললাইন ও আশপাশে। এই তেল সংগ্রহ করতে ভিড় করছেনে এলাকার সাধারণ মানুষ। যে যেভাবে পারছেন তেল সংগ্রহ করছেন । বালতি, হাঁড়ি, কলস ও ডেস্কি নিয়ে তেল সংগ্রহ করছেন তারা। রীতিমতো তেল সংগ্রহের উৎসব চলছে।
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, শত শত মানুষ তেল সংগ্রহ করছেন। কাকে রেখে কাকে ধরবেন। সবাই সংগ্রহ করছেন তেল।
বালতি নিয়ে তেল সংগ্রহ করতে আসা এক নারী বলেন, কিসের তেল জানি না, তবে পেয়েছি তাই আধা বালতি সংগ্রহ করেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, তিন লিটারের মত সংগ্রহ করেছি, এটা ডিজেল। কাজে না লাগলে বিক্রি করে দেব।
স্থানীয়রা বলছেন, ট্রেনের বগিগুলোতে ডিজেল, অকেটেন ও কেরোসিন তেল ছিল।
শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শাখওয়াত হোসেন জানান, সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর সাধারণ মানুষ তেল সংগ্রহ করছেন। বগিগুলোতে এক লাখ ৬০ হাজার লিটার অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন ছিল।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী তেলবাহী ৯৫১ ট্রেনের সাত বগি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও রেলস্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়।
স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কুলাউড়া থেকে হাইড্রোলিক টুল ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
রেল বিভাগের কুলাউড়া অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী (লোক) দুলাল চন্দ্র দাশ জানান, ঘটনার পর পরই কুলাউড়া থেকে উদ্ধারকারী হাইড্রোলিক টুল ভ্যান বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে ২.১০ মিনিট থেকে কাজ শরু করেছে। অপর দিকে বিকেল পোনে ৫টার দিকে আখাউড়া থেকে মুল উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে কাজে যোগ দিয়েছে।
তিনি জানান, রেল, স্লিপার, কালভার্টসহ বেশ ক্ষতি হয়েছে। সারতে সময় লাগবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি খুব দ্রুতগতিতে আসে প্রথমে তেলের লড়ির চাকা লাইন আউট হয়। পরে উল্টে যায়। সাথে সাথে লড়িতে থাকা পেট্রল, ডিজেল ও কেরেসিন পড়তে থাকে। স্থানীয় জনগন নিজস্ব পাত্র নিয়ে তা সংগ্রহ করতে থাকেন।
এ ব্যাপারে মেঘনা পেট্টলিয়ামের ডিভিশনারল ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় তাদের প্রায় ১লাখ ৬০ হাজার লিটার ডিজেল, কেরেসিন ও পেট্টল তেল পড়ে গেছে।