আজ সোমবার, ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, সকাল ৯:৩৪

অনলাইনের পরীক্ষা নিয়ে যা বললেন শাবি উপাচার্য

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত নভেম্বর ২, ২০২০, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
অনলাইনের পরীক্ষা নিয়ে যা বললেন শাবি উপাচার্য

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ফাইল ফটো

শিক্ষাঙ্গন বার্তা:: কোন শিক্ষার্থীর উপর চাপ প্রয়োগ করে নয় বরং শিক্ষার্থীদের সুবিধার আলোকেই অনলাইনে নেয়া হচ্ছে মূল্যায়ন পরীক্ষা।

আজ সোমবার (০২ নভেম্বর) অনলাইনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

শাবি উপাচার্য আরও বলেন-প্রয়োজনে কিংবা সমস্যার কথা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে যাতে মূল্যয়ন পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে।’

সোমবার (২ নভেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে অনলাইনে মতবিনিময়কালে একথা বলেন উপাচার্য।

উপাচার্য বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্ব থমকে গেছে। এসময়ে কোন কিছুই নির্ধারিত নিয়মে হচ্ছে না। শিক্ষা কার্যক্রমও থেমে রয়েছে। এসময়ে আমরা অনলাইনে আমাদের দুই সেমিস্টার শেষ করেছি। উপস্থিতি শতভাগ ছিল না হয়তো ক্লাসে। তারপরও শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে পড়ে কোন ধরণের ভোগান্তিতে না পড়তে হয় সেজন্য আর্থিক সহায়তা, মোবাইলে ডাটা প্রদানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এমনকি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অনলাইনে মূল্যয়ন পরীক্ষা শেষ করে রাখতে চেয়েছি।’

‘কিন্ত আমরা দেখেছি, অনেক শিক্ষার্থীই অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছে। কিন্তু আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় কোন ধরনের সেশনজটে না পড়–ক। এজন্য আমরা আমাদের ক্লাস ও ফাইনাল পরীক্ষা ব্যতীত বাকী সকল প্রক্রিয়া অনলাইনে শেষ করে রাখতে চাই। এর প্রেক্ষিতে টার্মটেস্ট, এ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ কিংবা ভাইবা পরীক্ষার মাধ্যমে এ সকল প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রত্যেক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে সুযোগ পেলেই আমরা স্বল্প ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবো’- বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য।

ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এখনো ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে কোন ধরণের সিদ্ধান্ত হয় নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুসারেই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

‘ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে’ শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উপর কোন ধরণের চাপ সৃষ্টি নয় বরং সমস্যার কথা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যাতে মূল্যয়ন পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারি।’

আরও পড়ুন:  ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫ হাজার ছাড়িয়ে

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে করোনাকালীন সময়ের অসমাপ্ত দুই সেমিস্টারের ক্লাস ও ফাইনাল পরীক্ষা ব্যতীত বাকী সকল প্রক্রিয়া (টার্মটেস্ট, ক্লাস উপস্থিতি, এ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি) অনলাইনে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তবে কোন শিক্ষার্থীর সমস্যা থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে সমাধানের পাশাপাশি প্রত্যেক কোর্স শিক্ষককে নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে ফাইনাল পরীক্ষা ব্যতীত টার্মটেস্ট পরীক্ষাসহ সকল প্রক্রিয়া অনলাইনে শেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে ইংরেজি বিভাগসহ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সকল শিক্ষার্থীরা অনলাইনে সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে গত ১৯ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়। যা অক্টোবর মাসের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুসারে অনলাইনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় প্রত্যেক বিভাগে। এর আগে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে এপ্রিল মাসে মাঝামাঝিতে অসমাপ্ত সেমিস্টারের ক্লাস অনলাইনে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অনলাইনে অসমাপ্ত সেমিস্টার ও চলমান সেমিস্টার শেষ হলেও টার্মটেস্ট, এসাইনমেন্ট, সেমিস্টার ফাইনালসহ কোন ধরণের পরীক্ষায় হয় নি।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১