আজ সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ৮:০৯

হঠাৎ রায়হানের বাড়িতে পুলিশের তদন্ত দল!

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত অক্টোবর ২০, ২০২০, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
হঠাৎ রায়হানের বাড়িতে পুলিশের তদন্ত দল!

সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে চাঁদা না পেয়ে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের বাড়িতে হঠাৎ করে পুলিশের তদন্ত দলের সদস্যরা গিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটির সদস্যরা

সিলেট নগরীর আখালিয়াস্থ নেহারিপাড়ায় রায়হানের বাড়িতে যান।

পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ আয়ুবের নেতৃত্বে রায়হানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

রায়হানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান এআইজি মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, এসআই আকবরের পালিয়ে যাওয়ার সাথে আর কেউ সংশ্লিস্ট রয়েছে কী না তা তদন্ত করার দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবেই আজ আমরা রায়হানের বাড়িতে এসে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। দু’একদিনের মধ্যেই এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।

এ মামলায় মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। তবে মূল অভিযুক্ত বন্দরবাজার থানার ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া পালিয়ে গেছেন। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় আকবর পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আকবরের পালিয়ে যাওয়ার সাথে কারা জড়িত তা তদন্তে কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর।

আরও পড়ুন:  মানবিক মানুষ সৃষ্টি করতে হবে: অধ্যাপক জাকির

মঙ্গলবার নগরীর আখালিয়া এলাকায় রায়হানের বাড়িতে গিয়ে ‘মোমেন ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে এই টাকা উপহার হিসেবে প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসময় রায়হানের মেয়ে আলফাকে কোলে নিয়ে আদর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, রায়হান হত্যার সুষ্ঠু বিচার হবে। এ ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।

উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১