
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: ধর্ষণ, খুনসহ ভয়ানক সকল রোগে আক্রান্ত সারাদেশ। এই রোগাক্রান্ত পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার কথা বললেন ডা. জাফরুল্লাহ।
আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এজন্য কমিশন করে, সবার সঙ্গে কথা বলে, দেশকে গণতন্ত্র দেয়া এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আর কোনো পথ নেই।
দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য অপরাধের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা সবার বাড়িতে সুখ চাই। এজন্য কমিশন করেন, সবার সঙ্গে কথা বলেন, দেশকে গণতন্ত্র দেন। মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া আপনার কোনো পথ নাই।
দেশের শিক্ষার ব্যাপারে সরকার একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্তব্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একটা কিছু ভুল পথে চললে সেটাকে কারেক্ট করা খুব কঠিন ব্যাপার হয়। ১৯৭২ সালে আমাদের পরীক্ষা নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল, নকলের যে সমারোহ হয়েছিল, সেটাকে বন্ধ করতে আমাদের একটা দীর্ঘ সময় লেগেছিল। আজকে তারই উদাহরণ ধরে বলছি, সরকার একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সময় তিনি ইমামদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি আমাদের আলেম সমাজ একটা স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) দিয়েছেন। তারা সেখানে মূল ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেছেন- মেয়েদের সমতা দিতে হবে। আপনাদের মসজিদে মসজিদে খুতবায় দেশের অনাচারের বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। তবে এর একমাত্র চিকিৎসা হলে সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের এই রোগের কোনো চিকিৎসা নাই। দ্বিতীয়ত, ইমাম সাহেবরা যেন এক বক্তব্য দিয়েই খালাস না হন।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে কবি আবদুল হাই শিকদার, এহসানুল হক মিলন, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সেলিম হোসেন ভূইয়া, রফিক শিকদার ও রুমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।