
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: উঠতি বয়স তাদের দু’জনের। বিনা পুঁজিতে কম দিনে চেয়েছিল মালদার হতে। তাই বেছে নেয় হ্যাকিং আইডিয়া৷
শুরু করে মালদার হওয়ার মিশন। টার্গেট বিদেশিরা।
সিলেটে সাইবার প্রতারক চক্রের এমন দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এ চক্রের প্রধানসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হল- সাইবার প্রতারক চক্রের প্রধান মো. মামুন মিয়া বয়স (২০) ও তার অন্যতম সহযোগী আফজাল হোসেন রিমন (২০)।
মামুন সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার মান্নারগাঁও গ্রামের মো. মিরাশ আলীর ছেলে। সে নগরীর চৌকিদেখি ১নং রোডের ২৩/১ নং বাসার ৪র্থ তলায় ভাড়াটিয়া। মামুনের সহযোগী রিমন একই থানার গোপালপুর গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব-৯ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই তারা প্রবাসী, সামাজিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন জনের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতেন। এরপর এসব তথ্য ব্যবহার করে টাকায় আদায় করতেন। বিকাশের মাধ্যমে এসব টাকা আদায় করতেন তারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবু মুসা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চৌকিদেখি থেকে সাইবার অপরাধী মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে সুনামগঞ্জ থেকে তার সহযোগী আফজল হোসেন রিমনকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের অপর সদস্য জাবেরকে গ্রেফতারে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন বলেছে- একসময় হ্যাকিং করা তাদের নেশা ও এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ পেশা হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে অর্থ কামিয়ে উন্নত জীবনযাপন করা এবং অল্প সময়ে ধনী হওয়াই তাদের লক্ষ্য ছিলো।
মামুন ও তার দুই সহযোগী মিলে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ইনকাম করতো বলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়। সাইবার প্রতারক চক্রের এই তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।