
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর অবশেষে ৩ অক্টোবর, শনিবার বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি।
বন্যা ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে কার্যনির্বাহী কমিটির এই বৈঠক। এই বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে দলের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটির সম্মেলন দ্রুত শেষ করা নিয়েও। তবে, বৈঠকে ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্য অংশ নিতে পারছেন না। মাত্র ৩৫ জনকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের করোনা টেস্টও করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, সর্বশেষ গত ৯ মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়। দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ ৭ মাস পর কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ায় সাংগঠনিক বিষয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জমা হয়ে আছে। সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়েই মূলত আলোচনা হবে বৈঠকে।
শীর্ষ কয়েক জন নেতা জানান, আলোচনায় প্রাধান্য পাবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি। এছাড়া, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় সরকার কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি, দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দলের সাংগঠনিক বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটির সম্মেলন দ্রুত শেষ করা, যেসব জেলায় কমিটির হয়েছে সেগুলো দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করা। এছাড়া, বিভাগীয় কমিটিগুলো অনুমোদনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সূত্রগুলো বলছে, দলের উপকমিটির সদস্যসংখ্যা ৩৫ থেকে বাড়ানো যায় কি না, তাও বৈঠকে উঠতে পারে। এরআগে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে এই সংখ্যায় লাগাম টেনে ধরেছিল আওয়ামী লীগ। তবে, সদস্য সংখ্যা ৩৫ জনে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল নেতাকে পদ দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়ে আসছেন দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও উপজেলা, জেলা, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হওয়া ইউনিটগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের বিষয় কঠোরভাবে যাচাই-বাছাইয়ের শেষে কমিটি ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
পাশাপাশি সারাদেশে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে বিভাগভিত্তিক বিভাগীয় কমিটির অনুমোদন হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতিতে ওইসব এলাকায় দলীয় কর্মকাণ্ড জোরদার ও ভুক্তভোগীদের জন্য দলীয় পদক্ষেপ চূড়া্ন্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সূত্র জানায়।
কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল ফারুক খান বলেন, ‘দেশের সার্বিক বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে। এছাড়া করোনা মোকাবিলার প্রসঙ্গ প্রাধান্য পাবে।’ দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয় থাকতে পারেও বলেও তিনি জানান।