
জীবনযাত্রা বার্তা:: বিয়ে মানে স্বামী দিবেন স্ত্রীর ভরণ-পোষণ।নববধূকে নিয়ে আসবেন নিজ ঘরে। কিন্তু দেশের আরও ৫/১০টি গ্রাম থেকে একেবারেই আলাদা সেই গ্রাম।
যেখানে বিয়ে মানেই ফ্রি’তে থাকা খাওয়া। সেটা অবশ্য ঘরজামাইদের জন্যই। কেননা সমাজের প্রথাগত নিয়মের বাইরে এই গ্রামে বিয়ের পর মেয়েরা নয় বরং ছেলেরা শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন। অর্থাৎ ঘরজামাই থাকেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের হিংগুল গ্রাম। তবে এক সময় এই গ্রামের মেয়েরাও শ্বশুরবাড়ি যেতেন। কিন্তু কয়েক দশক আগে গ্রামের বয়স্করা বিয়ের পর মেয়েদের নিজেদের বাড়িতেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অর্থাৎ ছেলেরা বিয়ের পর ঘরজামাই থাকবেন—এই প্রথা শুরু হয়। এমনকি এই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ও এই প্রথা মেনে চলেন।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? মূলত, মেয়েদের দূরে বিয়ে দেওয়ার সময় শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে সব তথ্য সঠিক হয় না। এ কারণে পরবর্তী সময়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া নারী নির্যাতন, যৌতুকের জন্য হত্যা ইত্যাদি ঘটনা ঘটছিল। এ কারণেই এই প্রথা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে শুধু হিংগুল নয়, ভারতের অনেক গ্রামেই ঘরজামাই রাখার প্রচলন আছে। মধ্যপ্রদেশের বীতালি গ্রামে ছেলেরা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। নরসিংহপুর জেলার এই গ্রামটি স্থানীয়দের কাছে ‘জামাইয়ের গ্রাম’ নামেও পরিচিত।