
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: দেশজুড়ে আলোচিত ও সারাবিশ্বে নাড়া দেওয়া সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত অজুর্নের পর এবার দায় স্বীকার করেছে সাইফুর ও রবিউল।
শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই দুই আসামী ১৬৪ ধারায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছে।
পুলিশ জানায়, প্রথম দিকে তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপাতে ব্যস্ত ছিলো। এ কারণে পুলিশ ধর্ষকদের খুজে চিহিৃত করতে তাদের ডিএন’র নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার সিলেটের আদালতে প্রথমেই নিজের দোষ স্বীকার করে মামলার অন্যতমন আসামি অর্জুন ঘোষ।
সে জানায়, বাইরে থেকে ওই মহিলাকে হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ভেতরে স্বামীকে আটকে রেখে গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে অর্জুন লস্করের পর সিলেটের আদালতের জবানবন্দি দেয় প্রধান আসামি সাইফুর রহমানও। সে আদালতেও ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনার মুল হোতা হিসেবে সে রাজন, আইনুদ্দিন ও তারেকের নাম উল্লেখ করেছে। রাতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রবিউলের। সেও একইভাবে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে আদালত পুলিশ।
এর আগে ২৫শে সেপ্টেম্বর ঘটনার পরপরই সিলেট ছাড়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ধর্ষণ মামলার আসামিরা। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর রোববার ভোরে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে। একই সময় হবিগঞ্জের মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি অর্জুন লস্করকে। রাতে হবিগঞ্জের ইনাতগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো রবিউলকে। রোববার আটক হওয়া তিন জনকেই সোমবার আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে দেয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্রাচার্য তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পুলিশ জানায়- রিমান্ডে আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউল প্রথম দিকে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়। তবে- শেষ দিকে এসে তারা ঘটনা স্বীকার করে। তারা জানিয়েছে- রাজন, আইনুদ্দিন ও রাজন তাদের নিয়ে এসেছিলো।