আজ রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, দুপুর ১২:৩৫

এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: আরও তিন নরপশুর ৫ দিনের রিমান্ড

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ০১:২৬ অপরাহ্ণ
এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: আরও তিন নরপশুর ৫ দিনের রিমান্ড

সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও দেশজুড়ে ক্ষােভের আগুন জ্বলে উঠা সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে প্রাইভেট কারে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় আরও তিন নরপশুর ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

রিমান্ডপ্রাপ্ত এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন-মাহমুদুর রহমান রনি, রাজন ও আইনুদ্দিইন।

আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময়ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এসময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি খোকন কুমার দত্ত। আর রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, এডভোকেট আলতাফ হোসেন, এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, এডভোকেট সৈয়দ মুক্তাদির, এডভোকেট মো. ফুরাহিম, এডভোকেট গোলাম রসুল সুজেল। তবে আদালতে আজও আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।

এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন বলেন, আজও আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না। মূলত মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেটের আইনজীবীরা। যদিও আইনি সহায়তা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। কিন্তু এ ধরণের ন্যাকারজনক কর্মকাণ্ডকে সিলেটের আইনজীবীরা ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করায় কোন আইনজীবী তার পক্ষ নেননি।

এর আগে সোমবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, রবিউল ইসলাম, অর্জুন লসকরকেও ৫ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ন ইয়ে মোত ৬ জনকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এদিকে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:  দক্ষিণ সুরমায় দুই যুবদল নেতা গ্রেফতারে বালাগঞ্জ যুবদলের নিন্দা

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত পাঁচজনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

পরে রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার তরুণী। এসময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আর আদালত তরুণী জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১