
সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: মাহফুজুর রহমান। বাড়ি কানাইঘাটের গাছবাড়ি এলাকায়। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘৃণিত ‘ধর্ষণ’ মামলার অন্যতম আসামী।
ঘটনার আগ পর্যন্ত স্পাইক করা চুল, পাঞ্জাবি আর জিন্স প্যান্টে ছিল। এর পর থেকে প্যান্ট খুলে লুঙ্গিতে ঢুকেছিল। বাঁচতে, আড়াল হতে সিলেটের সীমান্ত এলাকা জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে অবস্থান নিয়েছিল সে।
অবশেষে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর জালে ধরা পড়ে মাহফুজ।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সিলেট জেলা ডিবি ও কানাইঘাট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে হরিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাহফুজুর রহমান এমসি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের সালিক আহমদের ছেলে।
এর আগে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে রাজন ও তার সহযোগি আইনুলকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এর আগে ওই মামলার আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল। অন্যদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। এছাড়া রবিবার সকালে সিলেট বিভাগের পৃথক দুই স্থান থেকে মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমান এবং অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলা ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।