
আবু আফিফ আতিকুর রহমান, কাতার থেকে:: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়যুল হাসান খাদিমানী বলেছেন-আমরা জমিয়তের কর্মী। আমরা জমিয়তের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা আলেম-উলামা যারা আছি আমাদের ইসলামি সিয়াসত তথা ইসলামি রাজনীতি সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা করতে হবে।
শরিয়তে ইসলামের রাজনীতির অবস্থান কোন পর্যায়ে আছে? তা জেনে-বুঝে আমরা রাজনীতির কার্যক্রমে অংশ নিলে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
তিনি ইসলামের অন্যান্য ফরজ বিধানের সমূহের ন্যায় ইসলামি রাজনীতিও একটি ফরজ বিধান বলে উল্লেখ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় কাতার আবু হামু শাখা জমিয়তের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
শাখা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুজিবুর রাহমানের সভাপতিত্বে এবং এবং এম. ফয়সল আহমদের পরিচালনায় অত্র শাখার অর্থ সম্পাদক এম. মামুনুর রশীদ চৌধুরীর কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত এবং সহ সভাপতি হাফেজ আজমাতুল্লাহ এর তারানা পরিবেশনের মাধ্যমে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আনুষ্টানিকতা শুরু হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণমূলক আলচনা পেশ করেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউরোপের অন্যতম সহ সভাপতি শায়েখ মাওলানা আব্দুল আজীজ সিদ্দিকী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কাতার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা জসীম উদ্দীন, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আবু আফিফা আতিকুর রহমান, সৌদিআরব জমিয়ত এর সভাপতি মাওলানা মুহি উদ্দীন রাগিবী, ইউকে জমিয়তের সেক্রেটারী জেনারের মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আখতারুজ্জামান, উমান জমিয়তের সেক্রেটারী জেনারের মাওলানা আব্দুল হালীম সাতবাকী, সলযুক্ত আরব আমিরাত জমিয়তের আহবায়ক মাওলানা জহীর উদ্দীন দরবস্তী, সাংবাদিক আতিকুর রাহমান নগরী, কাতার জমিয়ত দুহা সিটি এর সাধারণ সম্পাদক এম. আবু বকর সা’দী, কাতার জমিয়ত শাহানিয়া শাখার সাধারন সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ নূরী, কাতার জমিয়ত উম্মুল আফায়ী শাখারর সভাপতি মাওলানা আবুল ফজলসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান আলোচক মাওলানা ফয়জুল হাসান খাদিমানী তাঁর বক্তব্যে বলেন- ইসলামী রাজনীতিতে সাংগঠনিক অভ্যন্তরিন যেকোন সমস্যার মূলে নেতা-কর্মীদের মাঝে শরয়ী দৃষ্টিতে ইসলামী রাজনীতির মানদন্ড, রাজনৈতিক দায়ীত্ব ও কর্তব্যের শরয়ী বিধান এবং ধর্মীয় ভাবে নেতৃত্বের ইহ-পরকালিন জবাব দিহিতার অজ্ঞতা থাকা।
ইসলামী সংগঠনে যারা সেচ্ছায় সক্রীয় হয়ে পড়েন, তাদের জন্য সংগঠনের গুরুত্বপুর্ণ প্রতিটি বিষয়ে তথা মিটিং, সমাবেশ, দলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ এবং নিজের মত প্রকাশ করা ওয়াজিবের পর্যায়, এটি প্রতিজন কর্মীকে বুঝে নিতে হবে।
সংগঠনের প্রতিটি স্থরে সংগঠনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোন বিষয়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ মতামত পেশ কারটি শরয়ী ভাবে ওয়াজিবের পর্যায় হলেও কোন কিছুতে শুরায়ী নেজাম বা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কিংবা মুরব্বিদের নির্দশনা চুড়ান্ত হয়ে গেলে তা মেনে নেয়া প্রতিজন নেতা-কর্মীর জন্য ফরজে আইনের সমতুল্য।
উনি আরও বলেন- সংগঠনকে সভাপতি সেক্রেটারী তথা দায়ীত্বশীল নির্ভর না করে প্রত্যেক কমিটির অন্তর্ভুক্ত প্রতিজন ব্যাক্তি সমান ভাবে সাংগঠনিক কাজ করে যেতে হবে। শরিয়তের দৃষ্টিকোন থেকে যেকোন ইসলামী রাজনীতিতে একজন সাধারণ সদস্যও সাংগঠনিক কাজের বেলায় সভাপতি, সেক্রেটারির সমান জবাহিতা করতে হবে।
এ ছাড়াও উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন- কাতার জমিয়ত দুহা সিটি শাখার সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন, কাতার জমিয়ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ
বিশিষ্ট কাতার জমিয়ত নেতা হাফেজ মাওলানা মিজানুর রাহমান খান, সৌদি জমিয়ত আল বাহা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর আবদুর রহমান আজমী, সৌদি জমিয়ত জেদ্দা শাখার সহ সাধারন সম্পাদক ছাত্র নেতা মাওলানা বিলাল আহমদ, কাতার জমিয়ত কেদ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাহফুজুর রাহমান, এম. আব্দুর রহীমসহ কাতার জমিয়ত আবুহামুর শাখার অন্যান্ন নেতা-কর্মীগন।
পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতির সমাপনি বক্তব্য এবং সদ্য প্রয়াত হেফাজত আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচাক শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রাহ. সহ মারহুম আকাবিরিনে জমিয়তের দারাজাত বুলন্দী এবং করোনা বাইরাস হতে বিশ্ব মানবতার প্রশান্তি এবং মুসলিম উম্মাহার মুক্তি কামনা করে প্রবাসী জমিয়ত সিলেটী জুনের পরিচালক মাওলানা জহির উদ্দীন দরবস্তির দুআর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।