
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে দিন দিন বাড়ছে চাঁদাবাজী।
চাঁদাবাজদের কারণে অতিষ্ট বিভিন্ন পেশার মানুষজন। পুলিশ প্রশাসনের অব্যাহত অভিযানও চলছে। তবুও কোনোভাবে রুখা যাচ্ছে নরা নৌ চাঁদাবাজদের।
সম্প্রতি দিনব্যাপী নৌকা যোগে সুরমা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকে প্রচার-প্রচারনার মাধ্যমে নৌ-চাঁদাবাজদের সতর্ক করে দেয় পুলিশ। নদী পথে চাঁদাবাজী বন্ধে আইনীভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও মাইকে প্রচার করা হয়।
ছাতকের সুরমা, চেলা, পিয়াইন, বটেরখাল নৌ-পথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ চাঁদাবাজরা তাদের রাম-রাজত্ব কায়েম করে আসছে। এসব নদী দিয়ে চলাচলরত বার্জ, কার্গো, বাল্কহেডসহ ইঞ্জিন চালিত নৌকা থেকে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করার বিষয়টি একটি চলমান রীতিতে পরিনত করা হয়েছে এখানে। বিভিন্ন সমিতির নাম লেখা রশিদ দিয়ে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দূর্দান্ত দাপটে।
ইঞ্জিন চালিত ছোট-ছোট নৌকা দিয়ে নদীতে চলমান এসব নৌ-যান থেকে চাঁদা আদায় করছে চাঁদাবাজদের নিয়োজিত লোকজন। এসব চাঁদা আদায়কারীরা দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে নৌ-পথে চাঁদা আদায় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়া হলে তারা নৌ-যান শ্রমিকদের মারপিটসহ মালামাল লুট করে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। যে কারনে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই নৌ-যান শ্রমিকরা নিয়মিত চাঁদা দিয়ে নৌ-পথে মালামাল পরিবহন করে আসছে।
এদিকে, ছাতক থানায় নতুন যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ আহম্মদ সনজুর মোরশেদ নৌ-পথে চাঁদাবাজী রুখতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার বিষয়টি টপ অব-দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। তিনি যোগদান করেই নৌ-পথে চাঁদাবাজী, মাদক, জুয়া ও পতিতাবৃত্তিসহ সব ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।
ঘোষনা অনুযায়ী রোববার নদী পথে চাঁদাবাজী বন্ধে মাইকে দিনব্যাপী প্রচারনা চালিয়েছেন তিনি। এসময় সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান পিপিএমসহ থানা পুলিশের একটি টিম সাথে ছিলেন।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মদ সনজুর মোরশেদ জানান, নৌ-পথে চাঁদাবাজী বন্ধে নদীতে থাকবে থানা পুলিশের টহলদল। পাশাপাশি চলবে সাড়াশি অভিযান। এ বিষয়ে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।