
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ থেকে:: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিজ পিতা কর্তৃক আপন মেয়েকে ধর্ষণের অভিযােগে দায়ের করা মামলায় লম্পট পিতাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
ধৃত আব্দুস সালাম (৪০) পেশায় সিএনজি চালক।
ঘটনাটি নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামে ঘটেছে।
জানা যায়, আটককৃত মোঃ আব্দুস সালাম (৪০) সিএনজি চালক। সে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে করে গোয়ালাবাজার এলাকায়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর আব্দুল সালামের স্ত্রী মোছাঃ হাছিনা বেগম (৩২) এর কাছে ১৩ বছর ও ৭ বছরের দুই মেয়েকে রেখে তিনি পিত্রালয় গোয়ালাবাজারে যান।
স্ত্রী বাড়ি থেকে যাওয়ার পরপরই কুলাঙ্গার বাবার কু-নজর পড়ে তার ১৩ বছর বয়সী কিশোর মেয়ের উপর। ঐ দিন দিবাগত রাত অনুমান ১১টার সময় তার মেয়ে দুটি ঘুমিয়ে যাওয়ার পরপরই পিতা আব্দুস সালাম তাদের ঘরে সু- কৌশলে প্রবেশ করে ঘমন্ত অবস্থায় জনৈক ১৩ বছর বয়সী মেয়েটির মুখে চেপে ধরে উপর্যুপরি ধর্ষন করেন। ধর্ষন শেষে মেয়েকে হুমকি দিয়ে বলে এ বিষয় কাউকে কিছু বললে তকে হত্যা করে ফেলবো। এমন নিষ্টুর আচরণ মেয়েটি কোন মতেই মেনে নিতে পারছেনা হত্যার ভয়ে আবার তার মাকেও বলতে পারছেনা।
কিন্তু সত্য বেশী দিন চাপা থাকে না এ ঘটনার কয়েকদিন পর মা হাসিনা বেগম বাড়ীতে আসেন। বাড়িতে আসার পরে তার ১৩ বছরের মেয়েটির রহস্যজনক আচরণ- আচরন দেখে মা-জননী বিষন চিন্তায় পড়ে যান।
অবশেষে মা তার মেয়েকে জিজ্ঞেস করেন, যে তর কি হয়েছে এমন মন মরার মতো কেন চলাফিরা করতেছত কারণ কি পরে মেয়েটি মাকে কান্না জড়িত কন্ঠে সবকিছু খুলে বলে দেয়। মেয়ের এমন কথা শুনে মা কি আর এই জ্বালা ও নিষ্টুরতা সইতে পারে? অবশেষে মেয়ের মা হাছিনা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় গতকাল একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলাঙ্গার আব্দুস সালামকে (৪০) কে ইনাতগঞ্জ ফাড়িঁ পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে নবীগঞ্জ থানায় আনা হয় এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি অপারেশন আমিনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক।
সারা দেশে চলছে মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়। এর মধ্যে একজন পিতা হয়ে তার আপন মেয়েকে কি ভাবে ধর্ষন করলো কতো বড় পাষন্ড হলে এমন কাজ করতে পারে না। পরদিন আমরা থাকে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে পাঠালে বিচারক দীর্ঘ শোনানী শেষে তাকে হবিগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।