
নিজামুল হক লিটন, চট্রগ্রাম থেকে:: লাখো মানুষের ঢল নেমেছে জানাযার নামাজে। শুক্রবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্রগ্রামের দিকে জনতার স্রোত ছুটেছিল।
আধ্যাত্মিক রাহবার, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমকে শেষ বারের মতো দেখতে জন সমুদ্রে পরিণত হয় চট্রগ্রাম শহর।
আজ শনিবার হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ মাদানি।
দুপুর দুইটায় হাটহাজারীতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
মাদ্রাসার ভেতরে জায়গা সংকুলাণ না হওয়ায় ভীড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় তার মরদেহবাহী গাড়িটি মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন লাখো ভক্ত অনুসারী। মুকুটহীন এ সম্রাটের মরদেহ পৌঁছানোর আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণসহ পুরো হাটহাজারী এলাকা।
চারদিক থেকে আসা মানুষের সহায়তায় রাস্তায় শুকনো খাবার ও শরবতসহ নানা পানীয় নিয়ে বিতরণ করছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। পুরো হাটহাজারীর সব প্রবেশ পথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
জানাজা শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে আল্লামা শফীকে দাফন করা হবে।
এদিকে যে কোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুরো এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের। ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য আছেন হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে।