আজ সোমবার, ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, সকাল ৮:৩৪

নামাজ পড়তে আসলে গ্যাসের গন্ধ পেতেন মুসল্লিরা

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০, ০১:৪৫ অপরাহ্ণ
নামাজ পড়তে আসলে গ্যাসের গন্ধ পেতেন মুসল্লিরা

আগুন নেভানোর সময় মসজিদের ভেতরে পানি দিলে বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছিল। ছবি-সংগৃহীত

সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: নারায়নগঞ্জে ফতুল্লায় বায়তুস সালাম জামে মসজিদে গ্যাস লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস কোম্পানীকে দায়ী করছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।

তাদের অভিযোগ, নামাজ পড়তে আসলে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেতো। এব্যাপারে একাধিকবার তিতাস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। তাদের গাফিলতিতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

অনেক মুসল্লির অভিযোগ, গ্যাসের পাইপ মেরামত করতে তিতাস কর্তৃপক্ষ টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেয়ায় তারা মেরামত করেনি।

পিয়াস মিয়া নামে স্থানীয় এক মুসল্লি বলেন, ‘আমরা উনাদের একাধিক বার বলেছি। তারপরেও উনারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

মসজিদ কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পাইপ মেরামত করতে কমিটির পক্ষ থেকে আমরা তিতাস কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েছি। কিন্তু তারা টাকা দাবি করলে এ বিষয়ে আর গুরুত্ব দেয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে তিতাসের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মুকবুল আহম্মদকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মুসল্লিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিতাসের এমডি আলী মো. আল মামুন সাংবাদিকদের বলেছেন, মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় তিতাসের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মুসল্লিদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।

দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। জানালার কাচ উড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গ্যাস থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন।

আরও পড়ুন:  অপপ্রচার বন্ধে মনিটরিং হচ্ছে সকল টিভি চ্যানেল

দুর্ঘটনার পর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, মসজিদের সামনের গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এসি চালানোর সময় জানালা বন্ধ থাকায় ওই গ্যাস ভেতরে জমা হয়ে যায়। হঠাৎ কেউ বৈদ্যুতিক সুইচ অফ-অন করতে গেলে স্পার্ক থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। পানি দেয়ার সময় বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান- গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১