
সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
ট্রাভেলস আর হোটেল-মোটেল এর ব্যবসায় লেগেছে বড় ধরণের ধাক্কা।
এমন পরিস্থিতিতেও নবায়ন ফি কমায় নি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
করোনার প্রভাবে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। ট্রাভেলস ব্যবসা পথে বসার উপক্রম। অন্যান্য ব্যবসাগুলোতেও নেমেছে ধ্বস। যার কারনে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান নিজস্ব নিয়ম নীতির উর্ধ্বে উঠে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
তখনই ব্যবসায়ীদের প্রতি মানবিক না হয়ে নবায়ন ফি বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি। নবায়ন ফি বাড়িয়ে দেওয়ায় সদস্যদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সিলেট চেম্বার অব কমার্সে আগে নবায়ন ফি ছিল ৮৮০ টাকা। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ফি বাড়িয়ে ১৪’শ টাকা করা হয়েছে। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। এই বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতেও সদস্যদের প্রতি মানবিক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সদস্যরা।
বর্ধিত ফি ১৪’শ টাকা দিয়েই নবায়ন করেছেন আরিফ বাইক ওয়ার্কস পয়েন্টের পরিচালক এম. আরিফ আহমদ (সদস্য নং- ০২৯৫১)। তিনি জানান, নবায়ন ফি কমানো উচিত ছিল। কিন্তু চেম্বার তা না করে, বাড়িয়ে দিয়েছে।
নবায়ন করতে গিয়ে বর্ধিত ফি জানতে পেরে নবায়ন করেননি চেম্বারের সদস্য ফজলে রাব্বি মাসুম (সদস্য নং-০৬১৮)। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সকল প্রতিষ্ঠান কিছুটা হলেও ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু সিলেট চেম্বার হঠাৎ করে নবায়ন ফি বাড়িয়ে দিলো, যা অমানবিক। তিনি বলেন, ফি কমানোর দরকার নেই, অন্তত আগের ফি রাখলে তো সদস্যদের উপকার হতো।
এ ব্যাপারে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মুশফিক জায়গীরদার বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফি কমানো উচিত। সাধারণ ব্যবসায়ী ও সদস্যদের বিষয়টি নিয়ে আগামী সভায় আলাপ করবেন বলে জানান তিনি।
তবে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, নবায়ন ফি বাড়ানো হয়নি। আগে নবায়ন ফি ছিল ৮৮০ টাকা। সিলেট চেম্বারের প্রশাসক নিয়োগের পর তিনি ওই ফি’র সাথে আরো ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৮৮০ টাকা নির্ধারণ করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে আমরা নবায়ন ফি ২৮’শ টাকা নির্ধারণ না করে ১৪’শ টাকা নির্ধারণ করি। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং সদস্যরা ওই ফি দিয়েই নবায়ন করছেন।