
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ থেকে:: হবিগঞ্জে মিলাদে কিয়াম করা না করা নিয়ে তাবলীগ ও সুন্নী পন্থীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এবং একাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) জুমার নামাজের সময় জেলার বানিয়াচং উপজেলায় মক্রমপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-জুয়েল মিয়া (৩৫), শাহজাহান মিয়া (৫০) ও তাহের আলী (৫৫)। বাকি আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায় নি।
এদিকে মাওলানা আব্দুল হামিদ হাফেজ আব্দুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া আব্দুর রউফ মশ্বব আলী ও শাহ আহমদের ঘরবাড়ী ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিমসহ বানিয়াচং থানা পুলিশ ও সুজাপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার মসজিদে কিয়াম করা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কয়েকদিন পূর্বে গ্রামের মুরুব্বীরা ভিন্ন মতাবলম্বী দু’পক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠক করেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মসজিদে নামাজের পূর্বে কিয়াম হবেনা। নামাজের পর হবে। যারা কিয়াম করতে আগ্রহী তারা কিয়ামে অংশগ্রহণ করবেন এবং যারা আগ্রহী নয় তারা নামাজ শেষে কিয়াম না করে বেরিয়ে যাবেন। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে উভয়পক্ষ মুরুব্বীদের দেয়া এই সিদ্ধান্ত মেনে নেন। কিন্তু শুক্রবার উশৃংখল একদল লোক শালিসের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জুম্মার নামাজের পূর্বেই মসজিদে কিয়াম করতে উদ্যোগী হলে এনিয়ে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার হয়।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ধর্মীয় বিষয়টি আপসে মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল। অল্প বয়সী কয়েকজনের অতিউৎসাহী ভূমিকার ফলে পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইটপাটকেল ছুঁড়াছুড়িতে কয়েকজন সামান্য আহত এবং কয়েকটি বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।